জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তিই সিরিজটিকে সামনের চ্যাম্পিয়নশিপে প্রস্তুতির অংশ ধরা যায়। বাংলাদেশ দল অবশ্য সেই রকম কিছু ভাবছে না। প্রস্তুতি নয়, টেস্টে নতুন কিছু শুরুর সিরিজ হিসেবে দেখছে এই দুই টেস্টকে।
গত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এর আগেরবারের চেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট জয় এসেছে। সেই ধারাবাহিকতা রেখে এবার আরও ভালো কিছু করতে চান শান্ত। পেতে চান সাদা পোষাকে আরও বেশি সাফল্য।
এছাড়া নিজেদের টেস্ট সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে গতবারের সাফল্যকেই পুঁজি করছেন শান্তরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে রবিবার থেকে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টের সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক এ সিরিজ থেকে নতুন কিছু করার আশা শোনালেন।
শান্ত বলেছেন, “নতুন কিছু আমরা চেষ্টা করবো এবং এটাও শুরু হবে আগামীকাল (রবিবার) থেকে। এবং এটার জন্য যে ধরণের মানসিকতা, প্রস্তুতি থাকার কথা সেটা খেলোয়াড়রা নিচ্ছে। যেহেতু আমাদের ২০-২২ বছর টেস্ট ক্রিকেট একই ধরণের ছিল এবং খুব বেশি উন্নতি হয়নি তার মানে এই জায়গাটাতে নিশ্চয়ই কিছু পরিবর্তনের দরকার আছে। ওই পরিবর্তনটাই করার চিন্তা করছি আমরা।”
গত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ১২ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জিতেছে। হেরেছে ৮ ম্যাচে। আগেরবার জয় ছিল না একটিও। এবারে দুই বছরের চক্রে পাকিস্তান, উইন্ডিজ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। বিপক্ষের মাটিতে খেলতে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। গতবারের চেয়ে এবার জয়ের সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা শান্তদের।
গত চক্রে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডর বিপক্ষে আর বিদেশের মাটিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ ও উইন্ডিজে একটি টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। ঘরে ও দেশের বাইরে টেস্ট জয়ের হার বাড়াতে চান শান্ত।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করার প্রস্তুতি জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে নিতে চাইছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাই জিম্বাবুয়ে খাট করে দেখছেন না মোটেও, “টেস্ট সংস্কৃতি তৈরি করতে হলে। আমরা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যেভাবে খেলবো, ঠিক সেই মানসিকতা-মেজাজ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গেও দেখাবো। খেলোয়াড়দের মধ্যে এরকম পার্থক্য নাই যে, ডিফারেন্স নাই যে ছোট দলের বিপক্ষে খেলছি বা বড় দল। উন্নতির জায়গা আছে। আমি মনে করি এখান থেকে আমরা সেই শুরুটা করতে পারি।”
এদিকে একটু ভিন্ন ভাবে এবার এসেছে জিম্বাবুয়ে। সবশেষবার বাংলাদেশ সফরে কোন রকম স্পন্সর ছাড়াই দেখা যায় জিম্বাবুয়ের জার্সি। এবার তাদের জার্সিতে স্পন্সর আছে। তার মানে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটেও উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে, এসেছে অর্থ।
এবার পাঁচ বছর পর বাংলাদেশ সফরে এসেছে জিম্বাবুয়ে। দলে নতুন মুখের ছড়াছড়ি। তাদের নিয়ে নতুন ক্রিকেট উপহার দিতে চায় সফরকারীরাও। দলটির অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন জানিয়েছেন, তরুণদের নিয়ে ভয়ডরহীন ক্রিকেট উপহার দিতে তারা প্রস্তুত।
এই টেস্ট সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দলের কম্বিনেশনেও নতুনত্ব আসতে যাচ্ছে। দলে তাসকিন-লিটন দাসরা নেই। নিশ্চিত ভাবেই নাহিদ রানা ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন খেলছেন। ব্যাটিং অর্ডারে লিটনের জায়গায় জাকের আলি না মাহিদুল কার জায়গা হয় সেটাই দেখার। এছাড়া টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া তানজিম হাসান সাকিবের অভিষেক হয় কিনা সেটাও একটা চমক হয়ে থাকবে।