প্রথম ম্যাচে শেখ মোরসালিনের গোলে ভুটানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের ফিফা প্রীতি ফুটবলের শেষ ম্যাচে রবিবার আবারও ভুটানের মুখোমুখি হবেন জামাল ভূঁইয়ারা। থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচ।
প্রথম ম্যাচে বিরতির ঠিক আগে ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। চোটের অবস্থা দেখে কোচ কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। রবিবার ভুটানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ ফিফা প্রীতি ম্যাচে রাকিবকে ছাড়াই মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচ জিতে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ এখন রাকিবকে ছাড়া বাকি ‘৫০ শতাংশ’ কাজ শেষ করার অপেক্ষায় আছে বলে জানালেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
এই সফরে বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য দুটি জয় তুলে নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করা। যাতে করে, আগামী মার্চে এশিয়া কাপের তৃতীয় রাউন্ডের বাছাইয়ে তিন নম্বর পটে থাকা যায়। প্রথম ম্যাচে লক্ষ্য অর্ধেক পূরণ হয়েছে জানিয়ে জামাল আশাবাদী কণ্ঠে বলেছেন, “ইনশাআল্লাহ আমরা ৩ পয়েন্ট পাবো। ভুটান প্রথম ম্যাচে অনেক ভালো করেছে। তিন-চার জন খেলোয়াড় ওরা মিস করেছে, তবে মাঠে যারা খেলেছে, তারা অনেক ভালো পারফর্ম করেছে। ওরা খুব প্রেসার দিয়েছে দলের জন্য। আমরা যদি ক্লিনশিট ধরে রাখতে পারি, তাহলে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে।”
পরের ম্যাচ জিততে পারলে সবাই খুশি হবে বললেন অধিনায়ক, “আমরা বলেছিলাম ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ৫০ শতাংশ এখনও বাকি আছে। আগামীকাল দলের জন্য এটা ফাইনাল। প্রথম ম্যাচ জিতেছি, আমরা আরও ৩ পয়েন্ট চাই। এটা পেলে আমরা সবাই খুশি হবো।”
চোট পাওয়া রাকিবকে নিয়ে ততটা চিন্তিত নন জাতীয় দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন, “প্রথম ম্যাচে খেলার একটা মুহূর্তে ওদের একজন খেলোয়াড়ের ট্যাকলে রাকিব গোড়ালিতে চোট পেয়েছে। গতকাল তার এক্স-রে করানো হয়েছে। আমরা যেটা জানতে পেরেছি, এ ম্যাচে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে চোট এত ব্যাপক নয় যে, তাকে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হবে। আশা করি, খুব দ্রুতই সে দলে ফিরবে।”
রাকিবকে ছাড়া পাঁচ জনের ব্যাকলাইন নিয়ে খেলা ভুটানের কৌশল কাটাছেঁড়া করে জামাল-মিতুল-ফাহিমদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন হাসান আল মামুন, ‘আজকের ট্রেনিংয়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল খেলোয়াড়দের ম্যাচের জন্য ফোকাস রাখা, আপনারা জানেন যে, ইতোমধ্যে একটা ম্যাচ খেলেছি, ওদের সম্পর্কে আমাদের অনেকটা জানা হয়েছে। ভুটান এবার যে ফরমেশনে খেলেছে, অতীতে আমরা আসলে তাদের এই ফরমেশনে দেখিনি। অতীতে হয়তে ৪-২-৩-১ এই ফরমেশনে খেলেছে, এবার তারা ব্যাকলাইনে পাঁচ জন নিয়ে খেলেছে অনেকসময়। এটা একেবারেই ভিন্ন ছিল।’
এরপরই যোগ করেন, “এই দিকগুলো নিয়ে কিছু মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার ছিল। কীভাবে আমরা প্রেসিংয়ে যাবো, কীভাবে ব্লক করবো, আক্রমণে যাবো, তাদের যে দুর্বল দিক আছে, সেগুলো আমরা কীভাবে কাজে লাগাবো; টিম মিটিংয়ে, অনুশীলনে মূলত এগুলো নিয়ে কাজ হয়েছে।”