দিনটি বেশ ক্লান্তিকর হতে পারতো। ৩ উইকেটে ২২৪ রানে তখন রান পাহাড়ে চড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে উইন্ডিজ। টানা দুই সেশন ভালো বল করা বাংলাদেশ বোলাররা শেষ সেশনে পড়লেন ক্লান্তির অবসাদে। সঠিক লাইনে পড়ছিল না বল। মিকেল লুই ও এলিক আথানাজে অনায়াসে রান তুলছিলেন।
মিরাজ-তাইজুলরা পুরোনো বল নিয়ে অ্যান্টিগার উইকেট থেকে সুবিধা পাচ্ছিলেন না। ততক্ষণে অধিনায়ক মিরাজ একটি ক্যাচও মিস করেছেন ৯০ রানে থাকা লুইয়ের। সবকিছুই কেমন যেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। বাংলাদেশ অপেক্ষায় ছিলো কখন দুই ব্যাটার ভুল করবেন।
সেই অপেক্ষা ফুরালো তিন ওভারের ব্যবধানে। দ্রুত দুই সেট ব্যাটার ক্রিজে ফেরায় অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিন শেষে অন্ধকারাচ্ছন্ন মুখ উজ্জ্বল হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের। ২৫০ রানে উইন্ডিজের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হয়ে অপারাজিত আছেন ১৪ রান করা জশুয়া ডি সিলভা ও ১১ রান করা জস্টিন গ্রিভস। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন দুটি, মিরাজ, তাইজুল একটি করে উইকেট নেন। রান আউট থেকে আসে অপর উইকেট।
দিনে দুবার ম্যাচে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশকে। শুরুর ১০ ওভারে উইকেট নিতে পারেননি বাংলাদেশ পেসাররা। নতুন বল, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও ফ্রেশ পিচ থাকার পরও উইন্ডিজ ব্যাটাররা লড়াইয়ে জিতেছেন। তবে ১০ ওভার পর দুই ওভারে ব্যবধানে জোড়া আঘাত দেন তাসকিন আহমেদ।
পরে মিকেল লুইয়ের সঙ্গে কেভাম হজ পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়েন। রান আউটের কাটা পড়েন হজ। এ জুটি ভেঙ্গে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় সেশনে শুরু থেকেই সামনে থেকে ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। দ্রুত রান তুলে দলের স্কোর সমৃদ্ধ করছিলেন।
উইকেট সহজ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ বোলারদের কাজ কঠিন হয়। তাইজুল একটা সুযোগ তৈরি করেন ৯০ রানে থাকা লুইকে ফেরানোর কিন্তু স্লিপে ক্যাচ ফেলেন মিরাজ। সেই মিরাজকেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ আউট হয়েছেন লুই।
টেস্ট ক্রিকেটে এই ইনিংসের আগে ১০০ বল খেলার ইনিংস নেই তার। ১০ ইনিংসের সবকটিতেই দ্রুত ফিরেছেন। এবার নিজের পরিবর্তন নিয়ে দিন শেষে এ ব্যাটার আফসোস করে বলেছেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর আমি নিজের ফুটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করেছি। কিভাবে লম্বা ইনিংস খেলতে পারি তা নিয়ে কথা বলেছি কোচদের সঙ্গে। তাই এই ইনিংসে ফলটা পেয়েছি। আমি ভেবেছিলাম মিরাজ যেহেতু আমার ক্যাচ মিস করেছে ওকে হিট করাই আমার জন্য সহজ। কিন্তু আফসোস সেঞ্চুরিটা হলো না।”
লুইয়ের পাশাপাশি সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়েছেন আলিক আথানাজেও। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে গত সিরিজে ৯২ রানের ইনিংস খেলেছেন। এবার ৯০ রানে ফিরলেন। ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটিতে উইন্ডিজকে নিরাপদে নেওয়া দুজনই মিস করলেন অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরি।
তাতে অবশ্য সুফল হয়েছে বাংলাদেশের। স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেট থাকলে নতুন অধিনায়ক মিরাজের ওপর চাপ বাড়তো। এমনটা না হওয়ায় হাসি মুখেই মাঠ ছেড়েছেন তিনি।
জোড়া উইকেটে ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ
এমন আক্ষেপ মিকেল লুইয়ের কতদিনে কাটবে তা তিনিই জানেন। অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে তিনি। এই উপলক্ষ্যে অপেক্ষায় থাকেন সকল ব্যাটাররা। অথচ সেই দুরত্ব অতিক্রম করতে পারলেন না। মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিলেন ৯৭ রানে।
একই জায়গায় মিরাজকে ৯০ রানে ক্যাচ দিয়ে জীবন পেয়েছিলেন লুই। আগেরবার মিরাজ ভুল করলেও এবার শাহাদাত হোসেন দিপু ভুল করেননি। বুক সমান উচ্চতার ক্যাচ সহজেই তালুবন্দী করেন।
লুইয়ের বিদায়ে ২২৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো উইন্ডিজ। আলিক আথানাজের সঙ্গে থামল ২২১ বলে ১৪০ রানের দারুণ সুন্দর জুটি। জুটির অপর ব্যাটার আলিক উইকেটে আছেন ৮৯ রানে। ক্রিজে আসার পর থেকে বেশ সাবলীল ব্যাট করে চলেছেন এই তরুণ।
অবশ্য এলিকও টিকলেন না। লুই ফেরার তিন ওভারের মাথায় থামলেন তিনিও। আরও একটি সেঞ্চুরির ইনিংসের শেষ হলো একরাশ হতাশায়। ১৩০ বলে ৯০ রান করে সাবলীল খেলতে থাকা আলিক তাইজুলকে স্কুপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। ক্রিজের সামনে থেকে সহজ ক্যাচ নেন লিটন। ২৩০ রানে ৫ উইকেটে পরিণত উইন্ডিজ।
অথচ এই একটি ভুলের আগে পুরো ইনিংসে মনসংযোগে কোন ব্যাঘাত হয়নি লুইয়ের। ২১৮ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৯টি চারও ১টি ছক্কা। বড় ছক্কাটি এসেছে শেষ সেশনে। এই সেশনেই হাত খুলে খেলা শুরু করেন লুই। অ্যান্টিগায় টেস্টের প্রথম দিন প্রথম দুই সেশনে ব্যাট করা কঠিন ছিল। শেষ সেশনে ক্লান্ত বাংলাদেশ বোলারদের ভুল লাইনে বল করার সুবিধা নিয়ে রান তোলা শুরু করেন লুই।
সেঞ্চুরির খুব কাছেই চলে যান। শেষ তিনটি সিঙ্গেল নিলেও কাজ হয়ে যেত। কিন্তু নার্ভাস নাইনটিজে কি করতে হবে সেই অভিজ্ঞতাহীন লুই বড় শটেই তিন অঙ্কে পৌঁছতে চাইলেন। সেই ভুলেই বিদায় নিলেন ৯৭ রানে। ৯০ রানে পাওয়া সুযোগটি তাই কাজে লাগানো হলো না তার।
মিকেল লুইয়ের ব্যাটে এগিয়ে উন্ডিজ
টেস্টে আগের ১০ ইনিংসে মিকেল লুইয়ের গড় ছিল মাত্র ২১। একটি মাত্র ফিফটিতে ১০ ইনিংস থেকে করেছিলেন ২১০ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টে বড় আশা নিয়েই নেমেছিলেন তিনি। ঘরের মাঠে সেই আশা পূরণ করছেন ধৈর্য্যশীল ব্যাটিংয়ে।
উইন্ডিজের হয়ে প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ইনিংস খেলছেন লুই। কোন ভুল নেই। বড় শটের ইচ্ছে নেই। বাজে বলেই কেবল বাউন্ডারী মারছেন। আর যত বেশি সম্ভব সিঙ্গেল-ডাবলস। এমেন পারফেক্ট টেস্ট ইনিংস থেকে শিক্ষা নিতে পারেন বাংলাদেশ ব্যাটাররা।
লুইয়ের ১৬৬ বলে ৭ চারে ৭১ রানের লড়াকু ইনিংসে প্রথম দিন চার বিরতিতে ভালো অবস্থানে থেকেই যেতে পেরেছে উইন্ডিজ। প্রথম সেশনে ২ উইকেটে ৫০ রান তোলা স্বাগতিকরা এই সেশনে ১ উইকেট হারিয়ে তুরেছে ৬৬ রান।
লুইয়ের সঙ্গে ১৩ রানে অপরাজিত আলিক আথানাজে। দুজনের ৩২ রানের জুটি অ্যান্টিগার উইকেটের ভয় এড়িয়ে এগিয়ে চলছে।
রান আউটে ভাঙল জুটি
ধীর তবে লক্ষ্যে স্থির থেকে ভালো এগোচ্ছিলেন মিকেল লুই ও কাভেম হজ। কোন ব্যাটারকেই মুখোমুখি লড়াইয়ে ভুলের ফাঁদে ফেলতে পারছিলেন না বাংলাদেশ বোলাররা। অবশেষে বোলারদের পরীক্ষা দিতে হয়নি। দুই ব্যাটার নিজেরাই ভুল করে সুবিধা করে দিলেন।
এক রানের জায়গায় দুই রান নেওয়ার ঝুঁকি নিয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন কাভেম হজ। থার্ড ম্যানের দিকে ঠেলে দুই রান নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। তাইজুলের সরাসরি থ্রো থেকে হজের ক্রিজের পৌঁছার আগেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন লিটন দাস।
১৩০ বলে ৫৯ রানের জুটি ভাঙে ৬৩ বলে ২৫ রান করা কাভেম হজের বিদায়ে। অপরপ্রান্তে অবিচল আছেন ১২০ বলে ৫৩ রান করা লুই। উইকেটে এসেছেন আলিক আথানেজ। ৩৯ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৮৫ রান উইন্ডিজের।
বাংলাদেশ বোলারদের ধৈর্য্য পরীক্ষা নিচ্ছেন উইন্ডিজ ব্যাটাররা
একেবারে উইকেট কামড়ে পড়ে থাকা বলতে যা বোঝায়। উইন্ডিজ ব্যাটাররা তাই করে চলেছেন। বাংলাদেশ বোলারদের ধৈর্য্য পরীক্ষা নিচ্ছেন।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিন প্রথম সেশনে ২৩ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৫০ রানে লাঞ্চ বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতির পর ১০ ওভার শেষে মাত্র ২৭ রান যোগ করেছে স্কোর বোর্ডে। ৩৩ ওভার শেষে ২ উইকেটে স্বাগতিকদের রান ৭৭।
আধুনিক যুগে প্রাচীন ক্রিকেট ফিরিয়ে এনেছেন মিকেল লুই। বলের পর বল ডট খেলে চলেছেন। বাউন্ডারী বল আসলেই কেবল ব্যাট চালাচ্ছেন। তাও ক্রিকেটীয় ব্যাকরণ মেনে। একেবারে পরিচ্ছন্ন ক্রিকেট বলতে যা বোঝায়।
সে পথে এগিয়ে লুই অবশ্য সফল। ১০৫ বলে ৫০ রান তার। টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ৪৭ বলে ২০ রান করা কাভেম হজ। দুজনে ১০২ বলে ৫২ রানে অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন।
অ্যান্টিগায় এগিয়ে থেকে লাঞ্চে গেল বাংলাদেশ
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশন এগিয়ে থেকে পার করেছে বাংলাদেশ। জোড়া উইকেট এনে দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তাতে ৫০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে উইন্ডিজ।
মেঘলা আবহাওয়া, নতুন ডিউক বল, টেস্টের প্রথম দিনের সকাল। সবমিলিয়ে পেসারদের স্বর্গরাজ্যে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এই মাঠে সবশেষ ৭ টেস্টের ছয়টিতেই টস জিতে আগে বোলিং নেওয়া দল সফল হয়েছিলো।
মিরাজ সেই পরিসংখ্যানে তাকিয়ে টস জিতে বোলিং নিয়েছেন। বোলাররা অ্যান্টিগার পিচ অনুযায়ী সফল না হলেও হতাশ করেননি। শুরুর ঘণ্টায় ২০ রানও করতে পারেনি উইন্ডিজ দুই ওপেনার। সময়ের সঙ্গে বাউন্ডারী বের করে রান এগিয়ে নিয়েছে তারা।
তবে পরের ঘণ্টায় তাসকিনের পরপর দুই ওভারে নেওয়া উইকেটে সুফল পায় বাংলাদেশ। তাতে লাঞ্চের আগে হাসি মুখেই ড্রেসিংরুমে ফিরতে পেরেছে সফরকারীরা। এই প্রথম টেস্টের কোন সেশনে প্রায় পুরোটাই পেসারদের দিয়ে বল করাতে চলেছিল বাংলাদেশ। লাঞ্চের আগে শেষ ওভারে তাইজুল ইসলামকে আক্রমণে না টানলে পুরো সেশন পেসাররাই বোলিংয়ে থাকতেন।
লাঞ্চের পর স্পিনে নির্ভর করবে বাংলাদেশ এমনটা নয়। লাঞ্চ হওয়ায় দুই ওভার আগে তাসকিনকে ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে বাড়তি বিশ্রাম দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তার মানে লাঞ্চের পরও পেস আক্রমণেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে বাংলাদেশের।
টানা দ্বিতীয় ওভারে তাসকিনের উইকেট
কষ্ট শেষে সুফল আসে। অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিন প্রথম ঘণ্টার লড়াইয়ে কোন সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। তবে এই সময় পেসাররা রান আটকে রেখেছিলেন স্বাগতিকদের। সেই চাপে টানা দুই ওভারে উইকেট হারালো উইন্ডিজ। দুটি উইকেটই নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
১৫তম ওভারে তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার কেসি কার্টি। মাত্র ৮ বল খেলা এই ব্যাটার ফিরেছেন ০ রানে। ২৫ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারালো ক্যারিবিয়ানরা।
তাসকিনের গুড লেন্থের বলটি খুব বাউন্স করেনি। হাঁটু থেকে একটু ওপরে ছিল। শক্ত হাতে খেলতে গিয়ে সাধারণ বলটিতে শর্ট মিডউইকেটে তাইজুলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন কার্টি। সহজে আরেকটি উইকেট পেয়ে গেল বাংলাদেশ।
তাসকিন এনে দিলেন প্রথম সাফল্য
লম্বা সময় সতর্ক হয়েই খেলেছে উইন্ডিজ দুই ব্যাটার। তবে প্রথম ঘণ্টার পানি পানের বিরতির পর সেই সতর্কতায় ছেদ পড়লো। তাসকিন আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।
২৫ রানে উইন্ডিজের প্রথম উইকেট পড়লো। মাত্র ৪ রানে ফিরেছেন ব্র্যাথওয়েট। তাসকিনের আগের বলটি ছিল বাউন্সার। পরের বলে ফুল লেন্থে ইনসুইংগার দিয়েছেন। ১৩ ওভারের তৃতীয় বলটিতে সামনের পায়ে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিনি। কিন্তু রিভিউ নিয়ে সফল হতে পারেননি। টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৯তম উইকেট পেলেন তাসকিন।
উইকেটহীন ১০ ওভার
পেস সহায়ক উইকেট, টেস্টের প্রথম দিন উইকেটের ময়েশ্চার, নতুন ডিউক বল। সব কিছুই একজন পেসারের জন্য আদর্শ। বাংলাদেশ পেসারদের জন্যও একই সুবিধা ছিল চলমান টেস্টে। কিন্তু কোন সাফল্য আসেনি। ১০ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ২২ রান তুলেছে উইন্ডিজ।
অ্যান্টিগায় ব্যাটিং করা কঠিন বলেই দিনের শুরু থেকে চরম সতর্কতা নিয়ে খেলেছে উইন্ডিজ দুই ব্যাটার। তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের দুটি এলবিডব্লিউয়ের আবেদন ছাড়া আর বিচলিত হননি মিকেল লুইস ও ক্রেইগ ব্রেথওয়েট।
সতর্কতার সঙ্গে ভালো ভাবেই এগিয়ে চলছেন দুজনে। ব্রেথওয়েট ৩১ বলে মাত্র ৪ রান করেছেন। আর মিকেল ৩২ বলে করেছেন ১৮।
তিন পেসার নিয়ে নামল বাংলাদেশ
অ্যান্টিগায় গত দুই টেস্টে বাংলাদেশের স্মৃতি ভালো না। দুটি টেস্টেই আগে ব্যাট করে হতাশ হতে হয়। এবার তাই টস ভাগ্যে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
এতে করে প্রথমদিন সকালে নতুন বলে বিপক্ষের গতি তোপে পড়তে হচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাটারদের। উল্টো স্বাগতিকদের সেই চ্যালেঞ্জে ফেলা যাচ্ছে তিন পেসারের আক্রমণ নিয়ে।
একাদশে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামকে রেখেছে সফরকারীরা। এতে বোলিং আক্রমণে কিছু বৈচিত্র্য এসেছে। মুশফিকুর রহিমের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন্ শাহাদাত হোসেন।
বাংলাদেশ : মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, শাহাদত হোসেন, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম
উইন্ডিজ : ক্রেইগ ব্রাফেট (অধিনায়ক), জশুয়া ডি সিলভা, অলিক আথানেজ, কিসি কার্টি, জাস্টিন গ্রেভস, কাভেম হজ, আলজারি জোসেফ, শামার জোসেফ, মিকাইল লুইস, কেমার রোচ, জেইডেন সিলস