চতুর্থ দিন শেষেই ম্যাচের ফল লেখা হয়ে গেছে। ম্যাচ পঞ্চম দিনে গড়ালেও অ্যান্টিগা টেস্টে কি হবে তা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৯ রান তুলতে ৭ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম টেস্টে দলীয় অর্জন পাওয়ার সুযোগ নেই। কোন রকমে হারের ব্যবধান কমানো যেতে পারে। এছাড়া ব্যক্তিগত অর্জনে ১৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকা জাকের আলি বিশেষ কিছু করার স্বপ্ন দেখতে পারেন। এর জন্য উইকেটের অপরপ্রান্তে স্বপ্ন সত্যি করার সঙ্গী চাই। হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামরা কি তার স্বপ্ন সারথী হতে পারবেন!
জাকের তার অর্জন পান আর না পান। তাসকিন পেয়েছেন। ক্যারিয়ারের প্রথমবার টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৬৪ রানে পাওয়া ৬ উইকেটে দারুণ খুশি এই পেসার। দিন শেষে বলছিলেন, “এটা খুব স্পেশাল। আমি আগেও সুযোগ পেয়েছিলাম কিন্তু হয়নি। তাই এবারেরটা বেশি স্পেশাল।”
উইন্ডিজে টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম একদিনে ১৭টি উইকেটে পড়েছে একদিনে। তাসকিন নিজে নিয়েছেন এর ৬টি। এমন সফল হওয়ার কারণ হিসেবে এই পেসার জানিয়েছেন, “প্রথম ইনিংস যে শিক্ষাটা পেয়েছি যে নতুন বলে এমন পিচে লাইন ও লেন্থ ঠিক রাখতে হয় আমি সেটা ফলো করেছি। আরেকটা জিনিস দেখলাম আগের দিন দিনের চেয়ে আজ বাতাস বেশি ছিল। এমন হলে বোলাররা ভালো সুবিধা পায়। এজন্য হয়তো আজ এক বেশি উইকেট নিতে পেরেছে পেসাররা।”
দ্বিতীয় ইনিংসে আগের মতোই ব্যাটিং বর্থতায় কেটেছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রাচীন ভুল আর শোধরানো হয় না ব্যাটারদের। সবশেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজের উইকেটটা উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক।
শরীর থেকে অনেকটা বাইরের বলে অন দি আপ ড্রাইভ খেলতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিলেন। ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই ক্যাচ নিয়েছেন উইকেটরক্ষক জশুয়া ডি সিলভা। জেডন সিলসের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৬ বলে ৪৫ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলছিলেন মিরাজ। তাতে দল কিছু রান পাচ্ছিল কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে মিরাজ সুবিধা করতে পারেননি। তাই অ্যান্টিগা টেস্টে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশও।
লিটনের বিদায়ে হার দেখছে বাংলাদেশ
জয়ের স্বপ্ন দেখা এমনিতেও এক দুঃস্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের জন্য। টেস্টে শেষ ইনিংসে ৩৩৪ রান করে জেতা প্রায় অসম্ভব। তবুও কতটুকু লড়াই বাংলাদেশ ব্যাটাররা করতে পারেন তা দেখার ছিল। কিন্তু অ্যান্টিগার চতুর্থ দিনেরপিচে এদিকটায় চরম হতাশ করেছেন ব্যাটাররা।
মাত্র ২৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এমনিকেই ব্যাকফুটে ছিল। দরকার ছিল বিশাল জুটির। লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের ওপর তাদের অভিজ্ঞতার কারণে গুরু দায়িত্ব ছিল। দুজনে দ্রুত ৩৬ রান তুলে পাল্টা আক্রমণ করতে চাইলেন ক্যারিবিয়ান বোলাররাদের। কিন্তু সেই চেষ্টায় সুফল মিলল না।
বড় শট নিতে গিয়ে ফিরলেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে পুল শট করতে গিয়ে ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হন এই ব্যাটার। এবার ব্যাটে বলে হলেও থার্ড ম্যানে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে গিয়ে পড়ে বল। মাত্র ২২ রানে লিটন ফেরায় ৫৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সঙ্গে প্রথম টেস্টে হারের সম্ভাবনাও অনেকটা বেড়ে গেল।
১০ ওভার শেষ হতে চার উইকেট নেই বাংলাদেশের
তাসকিন আহমেদের বীরোচিত বোলিংয়ের পরও উইন্ডিজের দেওয়া টার্গেট তিনশোর নিচে রাখা যায়নি। প্রথম ইনিংসে দলীয় রান কম আসায় এ বিপত্তি। অবশ্য দেড় দিন হাতে নিয়ে তিনশো রান তাড়া করার চেষ্টা করা যেতো। কিন্তু নিয়ম মেনে টপঅর্ডারের ব্যর্থতা বাংলাদেশ দলকে আরও একবার ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে।
অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৪ রান। তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই জাকির হাসান ফিরলেন বোল্ড হয়ে। সেই ধাকা থেকে সামলে ওঠার আগেই বিদায় নেন অপর ওপেনার। চতুর্থ ওভারে ৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মাহমুদুল হাসান জয়।
দুই ওপেনারের ফেরার পর এ সিরিজে মুশফিকুর রহিমের জায়গায় দলে সুযোগ পাওয়া শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক। দুজনে ১৩ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি। কেমার রোচের দ্বিতীয় শিকার হয়ে দিপু উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাত্র ৪ রানে।
১৩তম ওভারে কেমার রোচ আরও একবার আঘাত দেন বাংলাদেশের ইনিংসে। শামার জোসেফের আগের ওভারে টানা দুবার আউট হতে হতে বেঁচেছেন মুমিনুল। কিন্তু কেমার রোচের বলে আর রক্ষ হয়নি। হালকা ড্রাইভে ভেসে আসা বলটি বোলিংয়ের পর ফলো থ্রুতেই বাঁহাতে ক্যাচ নিয়ে নেন রোচ। ১১ রানে ফেরেন মুমিনুল।
১২ ওভারের মধ্যে ২৩ রান তুলতে ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
তাসকিনের প্রথম পাঁচ এর আনন্দ
ইনজুরি, হারিয়ে যাওয়া, লড়াই করে আবার ফিরে আসা। তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ারে উথান-পতনের নাটকীয়তা নিয়ে গল্প লেখা যায়। নানা বাধায় তাই প্রায় ১০ বছরের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে খেলতে পেরেছেন মাত্র ১৬টি টেস্ট। এর মধ্যে একবারও মর্যাদার ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া হয়নি তার।
লম্বা অপেক্ষা আর মাঠে সতীর্থদের ক্যাচ মিসের দুর্ভাগ্যের সঙ্গেও নিয়মিত লড়াই করতে হয়েছে তাসকিনকে। অ্যান্টিগায় উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন সকল কিছুর শেষে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার সাফল্য পেলেন তাসকিন।
চলমান টেস্টে উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে শামার জোসেফকে ইয়র্কারে বোল্ড করে টেস্টে প্রথম ৫ উইকেটের আনন্দ পেলেন তাসকিন। স্মরনীয় দিনে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জানালেন সেজদায় পড়ে। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসানের খুশিতে।
শামারকে আউট করার এক ওভার পর নিজে বোলিংয়ে এসে স্লোয়ার দিয়ে আউট করলেন কেমার রোচকে। ১২ রানে রোচের আউটে ১৫২ রানে দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ক্যারিবিয়ানদের। লিড দাঁড়ায় ৩৩৩। জিততে হলে ৩৩৪ করতে হবে বাংলাদেশকে।
স্লোয়ার বল হওয়ায় রোচের ড্রাইভ থেকে বল উঠে যায় আকাশে। মিডঅফে কিছুটা পেছনে দৌড়ে বাতাসে ভেসে এক হাতে অবিশ্বাস্য ক্যাচ নেন মিরাজ।
এ উইকেটে ইনিংসে ৬ শিকার পূর্ণ হয় তাসকিনের। ৬৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইনিংস শেষে কীর্তি গড়া বলটি নিয়ে ফিরছিলেন ড্রেসিংরুমে।
ফেরার পথে চুড়া হাসি থামছিল না তার। একবার নয় বল হাতে একাধিকবার হাসিমুখে ছবি তুললেন। বলে চুমু খেয়েও ছবি তুলতে ভুললেন না। অনেক অপেক্ষার পর পাওয়া অর্জন এমন খুশি মাখাই হয়।
তাসকিনের হাত ধরে আরও সাফল্য
অ্যান্টিগার পেস সহায়ক পিচে সত্যিকার অর্থেই জ্বলে উঠেছেন তাসকিন আহমেদ। পেস বোলিংয়ের দারুণ স্কিল দেখাচ্ছেন প্রতি বলে। সেরা ছন্দ পেয়ে তুলে নিয়েছেন ইনিংসে নিজের চতুর্থ চার উইকেট।
এবার গত ইনিংসে সেঞ্চুরি করা জাস্টিন গ্রিভসকে ইনগুইংগারে পরাস্ত করলেন মাত্র ২ রানে। এতে ৯৫ রানে ৬ উইকেট হারাল স্বাগতিকরা। লিড দাঁড়াল ২৭৪ রানের।
কঠিন পরিশ্রমের পুরষ্কার পেয়ে চলেছেন তাসকিন আহেমদ। গুড লেন্থ থেকে বাউন্স তোলা প্রতিটি পেসারের স্বপ্ন। সেইরকম এক ডিলেভারিতে জমে যাওয়া জুটি ভাঙলেন তাসকিন। বাংলাদেশকে এনে দিলেন সাফল্য।
কেভাম হজকে ওই রকম এক “আনপ্লেয়াবল” ডিলেভারিতে ড্রেসিংরুমে ফেরান তাসকিন। ১৫ রানে ফিরেছেন কেভাম হজ। ৮৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় উইন্ডিজ। তাসকিনের দুর্দান্ত আইটসুইংগারে ভাঙল ৫০ রানের জুটি। উইন্ডিজের লিড ২৭৪।
তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিয়ে টেস্টে ১০০ ক্যাচ ধরার মাইলফলক গড়েছেন লিটন দাস। মুশফিকুর রহিমের ১১১ ক্যাচের পর উইকেট কিপার হিসেবে এই সাফল্য লিটনের।
পরের উইকেটের জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। জুটির অপর ব্যাটার আলিক আথানেজ ফিরেছেন মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। ৪২ রানে থাকা অবস্থায় ব্যাকফুট কাট করতে যান আথানেজ। বল প্যাডে আগে লাগায় সহজেই এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত দিলেন আম্পায়ার। ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারালো উইন্ডিজ।
লাঞ্চ পর্যন্ত আর উইকেট মিলল না
পেসারদের দাপটে উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই তিন উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। এতে ম্যাচে সফরকারীরা বেশ ভালো অবস্থানে আছে। তিন উইকেট তুলে নেওয়ায় স্বচ্ছন্দে খেলতে পারেনি উইন্ডিজ ব্যাটাররা্ তবে লাাঞ্চের আগের ঘণ্টায় এমন সাফল্য আর আসেনি।
৩৯ রানে ৩ উইকেট হরানোর পর উইকেটে জুটি গড়েছেন আলিক আথানাজে ও কাভেম হজ। দুজনের জুটি ২২ রানের। আথানাজে ১৬ ও হজ ১০ রানে অপরাজিত। অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিন প্রথম সেশন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ৬১ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। লিড দাঁড়িয়েছেন ২৪২ রানের।
অবশ্য উইকেটের সুযোগ এসেছিল লাাঞ্চের আগে। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন আথানাজে। শর্ট কাভারে দাঁড়ানো মুমিনুল ক্যাচ ধরতে পারেননি। অবশ্য বল খুব জোড়ে আসায় এমন ক্যাচ নেওয়া বেশ কঠিন।
জোড়া উইকেটে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ
পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট। অ্যান্টিগা টেস্টে পিছিয়ে থাকা পুষিয়ে চতুর্থ দিন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের। তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম দুই ওভারে দুটি উইকেট নিয়েছেন। ১ উইকেটে ৩৫ থেকে মুহূর্তেই ৩ উইকেটে ৩৯ রানে পরিণত উইন্ডিজ। লিড ২২০ রানের।
চতুর্থ দিন পানি পানের বিরতির আগের ওভারে কেসি কার্টিকে আউট করেন তাসকিন। মাত্র ৩ রান করা কার্টি তাসকিনের বলে শক্ত হাতে ড্রাইভ করেন। বল তৃতীয় স্লিপে দাঁড়ানো মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে জমা পড়ে। ম্যাচে তাসকিনের চতুর্থ উইকেট।
পরের ওভারেই ২৩ রান করে একপ্রান্ত আগলে রাখা উইন্ডিজ অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েটকে ফিরিয়েছেন শরিফুল। ডানহাতি ব্যাটারকে রাউন্ড দ্যা উইকেট থেকে বল করে অ্যাঙ্গেল তৈরি করেছেন। আউট সুইংয়ের সেই অ্যাঙ্গেল বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন ব্র্যাথওয়েট। এবার বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন জয়।
দুর্ভাগ্যে পোড়া তাসকিনই এনে দিলেন উইকেট
দুই বলে দুই উইকেট পাওয়ার সুযোগ ছির তাসকিন আহমেদের। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। ফিল্ডার একটি ক্যাচ মিস করলেন আর একটি এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেও রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ। দুটি ঘটনাই তাসকিনের বলে।
অবশ্য উইকেট মিস করার দুর্ভাগ্যে পোড়া তাাসকিনই এনে দিয়েছেন প্রথম উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৯৭ রান করা মিকেল লুইকে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেছেন মাত্র ৮ রানে। উইন্ডিজ ২৫ রানে হারিয়েছে প্রথম উইকেট। লিড ২০৫ রানের।
অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিন একটি উদ্দেশ্যে শেষ উইকেটে তাসকিন-শরিফুলকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়নি বাংলাদেশ। সরাসরি ইনিংস ঘোষণা করেছে। তৃতীয় ওভারেই সেই উদ্দেশ্যে সফল করেছিলেন তাসকিন। তার অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। সরাসরি ক্যাচটি হাতে রাখতে পারেননি শাহাদাত হোসেন দিপু।
পরের বলেই প্রান্ত বদল করা মিকেল লুই তাসকিনের বল মিস করলেন। বল লাগল তার প্যাডে। বাংলাদেশ ফিল্ডাররা আবেদন করলেও কেউ রিভিউ নেননি। নিলে নিশ্চিত ভাবেই একটি উইকেট পেতেন। দুই বলে দুই উইকেট পাওয়ার সুযোগ মিস করলেন তাসকিন।
উইন্ডিজের প্রথম ইনিংসেও একটি উইকেট মিস করেছেন তাসকিন। তার বলে জাস্টিন গ্রিভসের ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় কিপারের হাতে। কিন্তু বাংলাদেশের কেউই আউটের আবেদন করেননি। শুধু এই টেস্টেই নয়। নিয়মিতই তাসকিনের বলে ফিল্ডাররা ক্যাচ মিস করেন। তাই বাংলাদেশ বোলিং লাইনে উইকেট মিস করা “দুর্ভাগা নায়ক“ তাসকিন।
রান বাড়ানোর পরিবর্তে ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের
আর মাত্র একটি উইকেট বাকি ছিল বাংলাদেশ ইনিংসের। অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিন সকালে যতটা সম্ভব লিড কমানোর লক্ষ্য থাকার কথা বাংলাদেশের। খুব বেশি আশা না থাকলেও লড়াইটা করা যেত। কিন্তু বাংলাদেশ সেই পথে হাঁটেনি। ১৮১ রানে পিছিয়ে থাকলেও ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছে।
প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৬৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে সফরকারীরা। অবশ্য মেহেদি হাসান মিরাজদের এই সিদ্ধান্তের কারণও আছে। চতুর্থ দিন সকালের উইকেটের ময়েশ্চার কাজে লাগাতে চেয়েছে বাংলাদেশ।
নতুন বল হাতে তাসকিন-হাসান-শরিফুলরা উইন্ডিজ ব্যাটারদের বিপদে ফেলতে পারলে দ্রুত কিছু উইকেট নেওয়া হবে সফরকারীদের। তাতে ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত আউট করার সুযোগ থাকবে।
