নেপাল থেকে ভারতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেজন্য শিগগিরই নেপাল ও ভারতের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করবে অন্তর্বর্তী সরকার। বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানি চুক্তি সইয়ের জন্য সরকারের একটি প্রতিনিধি দল কিছুদিনের মধ্যেই নেপাল সফর করবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় একটি হোটেলে নেপালের জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানা গেছে, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা হওয়ার ছয় বছর পর বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারত সম্প্রতি ভারত হয়ে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানিতে একটি চুক্তি সইয়ে সম্মত হয়েছে।
ঢাকায় নেপালি দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা।
এসময় নেপাল এবং নেপালি জনগণের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রশংসা করেন ফাওজুল কবির খান। বাণিজ্য, জ্বালানি, সংযোগ ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, “বাংলাদেশ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এসময় দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা দিতে সংহতি প্রকাশ করছে নেপাল।”
ভারতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়ে শিগগিরই ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করা হবে বলে জানান নেপালের রাষ্ট্রদূত।
বক্তব্যে নেপাল ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে উভয় দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার লক্ষ্যে সংযোগবৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে সংহতি ও সহযোগিতার রূপান্তরকারী শক্তিকে কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি। বাসস।