এক টুর্নামেন্ট আগে নারী এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে জাতীয় পর্যায়ে যা ছিল সর্বোচ্চ সাফল্য। ওই আসরের পর নারী ক্রিকেটে বড় জাগোরণ তৈরি হয়। বিপরীতে সাফল্য এসেছে সামান্য।
নারী এশিয়া কাপের সর্বশেষ আসরে সেমিফাইনালেও যেতে পারেনি বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে সবশেষ দুটো সিরিজে একটিও জয় নেই। এই অবস্থাতেই এশিয়া কাপে পা রাখছেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এই আসরে দলের প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সর্বশেষ দুটি সিরিজ ছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। বড় দুই দলের সঙ্গে লড়াইয়ের আগে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ ড্র। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম জয় ও ভারতের সঙ্গে ঘরের মাঠে সিরিজ ড্র করার সাফল্য দেখিয়েছিল জ্যোতিরা।
সর্বশেষ দুই সিরিজে বাজে পারফরম করে আত্মবিশ্বাসের পালে জোড় ধাক্কা খেয়েছে নারী দল। এবারের এশিয়া কাপে ভালো কিছু না পেলে নভেম্বরে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঠিক প্রস্তুতি নিয়েও প্রশ্ন থাকবে। অধিনায়ক জ্যোতি তা ভালো করেই জানেন।
তাই আজ দেশ ছাড়ার আগে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখিয়ে গেলেন, “ সর্বশেষ এশিয়া কাপে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারিনি। এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল। এর জন্য আমাদের প্রথম ম্যাচটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লম্বা সময় ধরে আমরা ভালো করছি না। কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেখেছি, কিন্তু দল হিসেবে ভালো করিনি।”
১৯ জুলাই স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে নারী দলের অভিযান। ওই ম্যাচ জিতলে গত দুই সিরিজের হতাশা ভুলতে পারবেন জ্যোতিরা, “এটা (এশিয়া কাপ) আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ, বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়া যাবে এশিয়া কাপের মাধ্যমে। শেষ দুটি সিরিজ খারাপ গিয়েছে, আমরা একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। এরপর আমাদের একটা লম্বা বিরতি গেল, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি। এখন আশা করি ভালো কিছু করতে পারব।”
পুরুষ জাতীয় দলের মতো গত দুই সিরিজে নারী দলেরও বড় সমস্যা ছিল ব্যাটিং। এশিয়া কাপে একই বিভাগ নিয়ে চিন্তিত জ্যোতি। তবে আশা রাখছেন নিজেদের দুর্বলতা নিয়ে যে কাজ করেছেন তা কাজে দিবে, “ব্যাটিং একটা দৃশ্যমান সমস্যা। আমরা সবাই মিলে এটা নিয়ে কাজ করছি। খেলোয়াড়দের মধ্যে দক্ষতার কোন সমস্যা নেই। ধারাবাহিকতাটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এখন. আসলে দেখার বিষয় সেটাকে কতোটা পারফরম্যান্সে প্রতিফলিত করতে পারব।”