দক্ষিণ এশিয়ায় যুব ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্ব দেখানো বাংলাদেশ দল এবার এশিয়ান পর্যায়ে নিজেদের মোটেও মেলে ধরতে পারেনি। গত আগস্ট মাসে অনূর্ধ্ব-২০ সাফে যে দলটা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেই বাংলাদেশ এবার ভিয়েতনামে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের গ্রুপে হয়েছে তৃতীয়।
গ্রুপে ৪ ম্যাচে ১ জয়, ১ ড্র ও ২ হারে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৪। রবিবার শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ পেয়েছে সান্ত্বনার জয়। দুর্বল ভুটানকে বাংলাদেশের যুবারা ২-১ গোলে হারিয়েছে। বাংলাদেশের ১টি করে গোল করেছেন আসাদুল মোল্লা ও মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম। ভুটানের গোলটি আত্মঘাতী।
টুর্নামেন্টের ১০ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও ৬টি সেরা রানার্স আপ দল খেলবে চূড়ান্ত পর্বে। ৪৫ দেশের টুর্নামেন্টে যদিও বাংলাদেশের জন্য কাজটা তুলনামূলক কঠিন ছিল না। তারপরও কোচ মারুফুল হক, এই দল নিয়ে কোনও আশার কথা শোনাতে পারেননি যাওয়ার আগে। এরপর ফুটবলারদের একের পর এক ভুলের কারণে জয় বঞ্চিত থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
ভুটানের সঙ্গে পুরো সময় বাংলাদেশ বেশ দাপট দেখিয়েই খেলেছে। ম্যাচে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভুটানের জালে গোল দিয়ে বসে বাংলাদেশ। ৩ মিনিটে আক্রমণে ওঠা বাংলাদেশের আসাদুল মোল্লা ডান প্রান্ত দিয়ে কোনাকুণি মাপা শটে ভুটানের জালে পাঠান বল (১-০)।
অবশ্য বিরতির পরই বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো। কিন্তু রাজু আহমেদ জিসানের শট ফিস্ট করে কোনও রকমে সে যাত্রায় বেঁচে যান ভুটানের গোলরক্ষক লোচো নিমা।
ম্যাচে ভুটান সমতায় ফেরে ৭১ মিনিটে। এই গোলে যতটা না ভুটানি ফুটবলারের কৃতিত্ব এর চেয়ে বেশি দায় বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইসহাক আকন্দের। জায়গা ছেড়ে অনেক ওপরে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। মাঝ মাঠ থেকে উড়ে আসা লং বল বাংলাদেশের আসাদুল মোল্লা হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে জালে জড়িয়ে দেন।
গোল খেয়ে যেন হুশ ফেরে বাংলাদেশের। জয়ের চেষ্টায় বারবার আক্রমণে উঠতে থাকে। সেই আক্রমণের ফল ৮৮ মিনিটে মইনের গোল (২-১)। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে বা পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়াতেই উল্লাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশের যুবারা।