ভারতের কাছে প্রথম ম্যাচে হার। মালদ্বীপের বিপক্ষে রবিবারের ম্যাচটি তাই বাংলাদেশের জন্য ছিল জীবন-মরণ লড়াই। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৭ সাফে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত মালদ্বীপের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। আর এই ড্রয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল স্বপ্নও অনেকটা ঝুলে রইলো বাংলাদেশের যুবাদের।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে মালদ্বীপ। ওই ম্যাচে যদি ভারতের কাছে ২ গোলের বেশি ব্যবধানে হারে মালদ্বীপ তবেই বাংলাদেশের সম্ভাবনা থাকবে শেষ চারে ওঠার।
ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশ শুরু থেকেই গতিময় ফুটবল উপহার দিয়েছে। কিন্তু গোল মিসের মহড়ায় নামা ফুটবলাররা সেই মাসুল দিয়েছে মালদ্বীপের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে।
ম্যাচে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের আক্রমণে বলতে গেলে এক রকম দিশেহারা ছিল মালদ্বীপের ডিফেন্ডাররা। কিন্তু কখনও তাদের সামনে দেওয়াল হয়েছেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক হাসান মাহিল। কখনও মুরশেদ আলী, নাজমুল হুদা ফয়সালরা সুযোগ পেয়েও গোল দিতে পারেননি।
বাংলাদেশ প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল ৩৬ মিনিটে। কিন্তু লং বল থেকে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি নাজমুল। এরপর ৪০ মিনিটে মুরশেদ আলী মারলেন বাইরে । তবে ৪৯ মিনিটে সেই মুরশেদ আলীর গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ (১-০)।
বক্সের মধ্যে মালদ্বীপের ডিফেন্ডারের কাছ থেকে পাওয়া বল পেয়ে জোরালো শট নেন পোস্টে। মালদ্বীপ গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল ঢোকে জালে।
গোল খেয়ে যেন দিশেহারা হয়ে পড়ে মালদ্বীপ। দুই দলই অল আউট ফুটবল খেলায় বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররাও অনেকটা সামনে এগিয়ে থাকে। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ৭৯ মিনিটে ১-১ করে মালদ্বীপ।
মাঝ মাঠ থেকে আচমকা লং বল পেয়ে বাংলাদেশের দিুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢোকেন মোহামদ ইলান ইমরান। তখন বাংলাদেশ গোলরক্ষক জায়গা ছেড়ে অনেকটা এগিয়ে এসেছিলেন। সেই সুযোগে তাকে ফাঁকি দিয়ে গোল করেন মোহামদ ইলান ইমরান (১-১)।
এরপর অন্তত গোটা তিনেক নিশ্চিত সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা। ৮৪ মিনিটে নাজমুলা হুদার বাড়িয়ে দেওয়া বলে মানিক ও মুরশেদের যে কোনও একজন পা ছোঁয়ালেই গোল হতে পারতো। আর ৮৬ মিনিটে মুরশেদ যে গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন, সেটা নিয়ে নিশ্চয় আক্ষেপ থাকবে তার। একেবারে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বল মারেন বাইরে।