Beta
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

পি কে হালদার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৩ জনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

প্রশান্ত কুমার হালদার
প্রশান্ত কুমার হালদার
[publishpress_authors_box]

আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার সংশ্লিষ্ট তিন জনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে কমিশনের উপসহকারি পরিচালক সাবরিনা জামান তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়, পি কে হালদার এবং তার সহযোগী স্বপন কুমার মিস্ত্রিসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ আবেদন যাচাই বাছাই ছাড়াই কোন মর্টগেজ নেওয়া ছাড়া এবং ঋণ গ্রহীতা কাগুজে প্রতিষ্ঠান স্বন্দীপ কর্পোরেশনের প্রোপাইটর স্বপন কুমার মিস্ত্রিকে ভুয়া ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। বেনিফিসিয়ারিরা এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকেও ৪০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ভূয়া কোম্পানি ও বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবে এসব অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে পাচার করে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। একারণে প্রশান্ত কুমার হালদার এবং স্বপন কুমার মিস্ত্রিসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৩ মার্চ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ অবস্থায় মামলার আসামিরা এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক মাহফুজা রহমান বেবী এবং আরেক আসামি পরিচালক অনিতা করের মাধ্যমে কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাত করে অর্থ অন্য কোথাও হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন।

পি কে হালদার ইতোমধ্যে ভারতে আটক রয়েছেন বলে জানা যায় এবং তার সহযোগিরা দেশে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এসব অর্থ উত্তোলন করার চেষ্টা করছেন বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। এসব অর্থ উত্তোলন করতে পারলে তারা গোপনে দেশ ত্যাগ করতে পারেন। মামলা নিষ্পত্তির আগে এসব অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে মামলার উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। এজন্য অবিলম্বে এসব অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা প্রয়োজন।

এসব হিসাবের মধ্যে মো. সিদ্দিকুর রহমানের নামে ১১টি, মাহফুজা রহমান বেবীর নামে চারটি এবং অনিতা করের নামে ৬টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে।

দেশের আর্থিক খাতের আলোচিত নাম প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুট করে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত