দেশের শীর্ষ পাঁচ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কর্ণধারদের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য অনুসন্ধানে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)।
ব্যবসায়ীরা হলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের প্রধান সালমান ফজলুর রহমান, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম।
এই পাঁচ ব্যক্তি ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), সঞ্চয় অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে এনবিআর।
এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গত ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় পরদিন তাকে আদালতে তোলা হয় এবং পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ দিনের রিমান্ডের অনুমতি দেন বিচারক।
বিভিন্ন পন্থায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই পাঁচটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কর্ণধারদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহ শুরু করে সিআইসি।
সিআইসির মহাপরিচালক মো. খায়রুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বর্তমান সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ পর্যালোচনা করে এবং সুনির্দিষ্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য কর ফাঁকিবাজদের তালিকা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের আয়কর আইন, ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া কর উদ্ধারের পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্পদে শীর্ষে ওঠা ব্যক্তিদের সম্পদের তথ্য জানতে চাইছে এনবিআর। স্থগিত করা হচ্ছে সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব-লেনদেন।