নতুন অফিস সূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহের প্রথম তিন কর্মদিবসে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হবে স্বাভাবিক সময়ের মতোই সকাল ১০টায়। ব্যাংক খোলা থাকবে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত, তবে লেনদেন চলবে ৩টা পর্যন্ত।
স্বাভাবিক সময়ে ব্যাংকে লেনদেন হয় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত, এরপর আরও দুই ঘণ্টা চলে অন্যান্য কার্যক্রম।
পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। স্বাভাবিক সময়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয় সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক নতুন এই সময়সূচি জানান।
শনিবার সন্ধ্যায় তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে রবিবার থেকে মঙ্গলবার- এই তিন দিন দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সব শাখা খোলা থাকবে। ব্যাংক খোলা থাকবে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত, লেনদেন হবে ৩টা পর্যন্ত।”
যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ব্যাংকগুলোকে শাখা খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, এই তিন দিন (রবি থেকে মঙ্গলবার) পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
গত ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নজিরবিহীন সহিংসতা ঘটে। গুলিতে প্রাণহানির পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে হামলা হয়। সহিংসতা চলতে থাকে তার পরদিনও। রাত ১২টা থেকে জারি হয় কারফিউ। এরপর তিনদিন ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি।
বুধ ও বৃহস্পতিবার কারফিউ শিথিল থাকে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এই দুই দিন ব্যাংকে বেলা ১১টা থেকে ৩টা এবং পুঁজিবাজারে লেনদেন চলে বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত।
শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি অফিস আগামী তিন দিন (২৮ থেকে ৩০ জুলাই) ছয় ঘণ্টা করে চলবে। এই তিন দিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অফিস চলবে।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার চার ঘণ্টা করে চলে অফিস।
দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। চলমান কারফিউর সময়সীমা শিথিল করছে সরকার। এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়ও বাড়ানো হচ্ছে।