বার্সেলোনা প্রিয় প্রতিপক্ষই ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের। পিএসজিতে থাকতে চার ম্যাচে ছয় গোল করেছিলেন তাদের বিপক্ষে। এল ক্লাসিকো অভিষেকে সেই বার্সার সঙ্গেই বিবর্ণ এমবাপ্পে। কোনো গোল বা অ্যাসিস্ট নেই, উল্টো অফসাইড হয়েছেন ৮ বার!
রিয়ালকে আটকাতে হান্সি ফ্লিকের কৌশল ছিল দুটি। একটি হাইলাইন ডিফেন্স, আরেকটি তারুণ্যের উদ্যম। দুটিতেই সফল ফ্লিক। বিরতির আগে ৮বার ফ্লিকের হাইলাইন ডিফেন্সে অফসাইডের ফাঁদে পড়েছে রিয়াল। পুরো ম্যাচে ১২বার।
বিরতির আগে এমবাপ্পে একাই হয়েছেন ৬বার অফসাইড, ২০ মিনিটের মধ্যেই হয়েছেন চারবার। পুরো ম্যাচে তিনি অফসাইড হয়েছেন ৮ বার, ক্যারিয়ারে আর কোনো ম্যাচে এত বেশিবার অফসাইড হননি তিনি। অফসাইডের জন্যই দুবার বল জালে জড়িয়ে গোল পাননি এমবাপ্পে। ওয়ান টু ওয়ানে তার তিনটি শট আটকে দেন বার্সার গোলকিপার ইনাকি পেনা।
সর্বশেষ গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর লা লিগায় হেরেছিল রিয়াল। টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজিত থেকে হারল শনিবার। তাতে বার্সারই গড়া টানা ৪৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছুঁতে পারল না তারা।
বার্সেলোনার একাদশে ৬ খেলোয়াড় ছিলেন ২২ বছরের কম বয়সী। এল ক্লাসিকোর সর্বশেষ ১০৮ বছরে এত তরুণ দল নিয়ে খেলাননি আর কোনো কোচ। সেই তারুণ্যের শক্তিতেই বাজিমাত করেছে কাতালানরা।
এই ম্যাচে লেভার করা দুই গোলের অ্যাসিস্ট ছিল ২২ বছরের কম বয়সী দুই খেলোয়াড়ের। একটি ২১ বছর বয়সী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মার্ক কাসাদোর। অপরটি ২১ বছর বয়সী আরেক তরুণ আলেহান্দ্রো বালদের।
গোল করেছেন লামিনে ইয়ামাল। তাতে এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে ১৭ বছর ১০৫ দিন বয়সী ইয়ামাল এখন সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা।
বার্সা ৪টা গোলই করেছে বিরতির পর। ১৯৫৯ সালের ৭ জুন এই বার্নাব্যুতে সর্বশেষ এক অর্ধে ৪ গোল করেছিল তারা। এমন অসাধারণ জয়ের পরও অবশ্য পা মাটিতে রাখছেন ফ্লিক। তিনি বললেন, ‘‘আমরা উদযাপন করতেই পারি তবে এখন আমাদের মনোযোগ দিতে হবে এস্পানিওলের ম্যাচের উপর।’’