Beta
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫
ওসাসুনা গোলকিপারের অভিযোগ

রিয়াল-বার্সাকে জেতানোর জন্যই এই টুর্নামেন্ট

স্প্যানিশ সুপার কাপে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা-ওসাসুনা। ছবি: টুইটার
স্প্যানিশ সুপার কাপে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা-ওসাসুনা। ছবি: টুইটার
[publishpress_authors_box]

স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনা। রিয়াদের আল-আওয়াল পার্কের সেমিফাইনালে ওসাসুনাকে হারিয়েছে ২-০ গোলে। তাতে তৈরি হয়ে গেছে আরেকটি এল ক্লাসিকোর মঞ্চ। ফাইনালে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। আর এখানেই বড় এক অভিযোগ তুলেছেন ওসাসুনা গোলকিপার সের্হিয়ো হেরেরা।

তার অভিযোগ, স্প্যানিশ সুপার কাপ আয়োজন করা হচ্ছে শুধুমাত্র রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন করানোর জন্য। এখানে বাকি দুটি দল যোগ করে প্রতিযোগিতার দৈর্ঘ্য বাড়ানোর চেষ্টা করে আয়োজকরা।

আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে আগেই ফাইনালে উঠেছে রিয়াল। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ২০১৯-২০ মৌসুম থেকে স্প্যানিশ সুপার কাপ হচ্ছে চার দল নিয়ে। আগের মৌসুমে লা লিগা ও কোপা দেল রে’র চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ- এই চার দল নিয়ে সৌদি আরবে হয়ে আসবে প্রতিযোগিতাটি। গত মৌসুমেও ফাইনালে ছিল এল ক্লাসিকোর লড়াই। এবারও তাই। টানা দুই বছর ফাইনালে রিয়াল-বার্সা মুখোমুখি।

বৃহস্পতিবার রাতে বার্সেলোনার কাছে হেরেছে ওসাসুনা। এই ম্যাচে রেফারির প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন হেরেরা। তার দাবি, রিয়াল কিংবা বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন করানোর উদ্দেশ্যেই রেফারির প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত। তিনি আঙুল তুলেছেন রবার্ত লেভানদোভস্কির করা প্রথম গোলটির দিকে।

ওসাসুনা গোলকিপার সের্হিয়ো হেরেরা। ছবি: টুইটার

হেরেরার অভিযোগ, “পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে রিয়াল কিংবা বার্সেলোনাকে জেতানোর জন্য এই প্রতিযোগিতাটি সাজানো হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, এই দলগুলো সবচেয়ে বেশি অর্থ এনে দেয়। আমার এই কথার সঙ্গে যিনি একমত নন, তিনি আসলে ফুটবলই দেখেন না।”

সুপার কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৫৯ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। মাঝমাঠ থেকে ওসাসুনার হোসে আর্নাইজের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন। এরপর বল ইকেই গুন্ডোয়ানের পা হয়ে যায় লেভানদোভস্কির কাছে। পোলিশ স্ট্রাইকার বল জড়ান জালে। ওসাসুনা গোলকিপারের অভিযোগ, গোলের উৎসতেই হয়েছিল ফাউল। তার দাবি, মাঝমাঠে আর্নাইজ ফাউলের শিকার হলেও রেফারি খেলা থামাননি। এমনকি ভিএআরেও আমলে নেননি ফাউলের বিষয়টি।

হেরেরার বক্তব্য, “পুরো ম্যাচে আমাদের দিকে রেফারির আচরণ ছিল ভিন্ন। ওটা পরিষ্কার ফাউল ছিল। আমরা পেশাদারি দল। তাই এখানে খেলতে এসেছি।”

হেরেরার করা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেননি বার্সেলোনা কোচ জাভি। তবে কাতালান ক্লাবটি রেফারির কাছ থেকে সুবিধা পেয়েছে, সেটি উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি, “সত্যি বলতে তাৎক্ষণিক দেখায় আমার কাছেও ফাউল মনে হয়েছিল। তবে রিপ্লেতে সেটি চোখে পড়েনি। কখনো কখনো সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে যায়, আবার বিপক্ষে যায়। তবে আমার মনে হয় না রেফারির সিদ্ধান্ত ম্যাচের ফলে কোনো প্রভাব ফেলেছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত