লা লিগায় ব্যর্থতার বৃত্তে ছিল বার্সেলোনার। পয়েন্ট হারিয়েছিল টানা তিন ম্যাচ। রিয়াল মায়োর্কাকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে জয়ে ফিরল হান্সি ফ্লিকের দল।
গোল না পেলেও চোট কাটিয়ে মাসখানেক পর সেরা একাদশে ফিরে জাদু দেখিয়েছেন লামিনে ইয়ামাল। জোড়া গোল রাফিনিয়ার। আর একবার করে লক্ষ্যভেদ করেন ফেররান তরেস, ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও পাউ ভিক্তর।
টানা ২০ ম্যাচ খেলা রবার্ট লেভানদোস্কিকে এই ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ ফ্লিক। তাকে ছাড়া বার্সা যেভাবে জিতেছে তাতে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন তিনি। আলাদাভাবে প্রশংসা করেছেন ইয়ামালেরও, ‘‘লামিনে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। এক বা দুই গোল পেতে পারত ও। তবে পেনাল্টি আদায় করেছে, দারুণ অ্যাসিস্টও করেছে একটা। ওর এই মানসম্পন্ন খেলাটাই দরকার আমাদের। শুধু লামিনে নয়, ভালো খেলেছে অন্যরাও।’’
১৬ ম্যাচে ১২ জয় ও এক ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৩৭। দুই ম্যাচ কম খেলে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।
লা লিগায় সোসিয়েদাদের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর সেল্তা ভিগোর সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল বার্সা। এরপর লাস পালমাসের বিপক্ষে হেরেছিল ২-১ গোলে। সেই হতাশাটা বার্সেলোনা কাটাল মঙ্গলবার। ১২তম মিনিটে ফেররান তরেস এগিয়ে নেন কাতালানদের। ৪৩তম মিনিটে ভেদাত মারিকি সমতা ফেরালে আবারও শঙ্কা জাগে পয়েন্ট হারানোর।
বিরতির পর অবশ্য মায়োর্কার ওপর ঝড় বইয়ে দেয় বার্সা। আদায় করে ৪ গোল। বিরতির ঠিক আগে গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান-অন-ওয়ানে মিস করা রাফিনিয়া ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে নেন বার্সাকে। ডিবক্সে ইয়ামাল ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
৭৪ মিনিটে ইয়ামালের অসাধারণ পাস পেয়ে ছয় গজ বক্সের মুখে পায়ের টোকায় নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাফিনিয়া। এবারের লিগে ১৬ ম্যাচে এটা তার ১১তম গোল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এবারের মৌসুমে ২১ ম্যাচে তার গোল ১৬টি।
দানি ওলমোর বদলি নামা ডি ইয়ং গোল পান ৭৯ মিনিটে। ৮৪তম মিনিটে তার কাট-ব্যাক থেকেই বার্সার ৫-১ গোলের জয় নিশ্চিত করেন পাউ ভিক্তর।
