বরিশালের গৌরনদীতে একটি বাড়ির বাথরুম থেকে ককটেল উদ্ধার করতে গিয়ে বিস্ফোরণে দুই পুলিশসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় গৌরনদীর পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় কসবা হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত হয়েছেন গৌরনদী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন, কনস্টেবল মো. মিজান ও বাড়ির মালিক রাজু হাওলাদারের ছেলে মাসুম হাওলাদার (৩৫)।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পাই বড় কসবা ইসলামিয়া মিশনের পেছনের একটি বাড়ির বাথরুমে বাজারের ব্যাগের ভেতর ককটেল সদৃশ্য বস্তু রয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানায় বাড়ির মালিক।
“পুলিশ গিয়ে বাড়ির মালিককেই বাথরুম থেকে ব্যাগটি বের করতে বলে। ব্যাগটি বের করার সময় ককটেলগুলো বিস্ফোরিত হয়। এতে বাড়ির মালিকসহ দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর এসআই কামালকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, “মাসুম হাওলাদারের ঘর থেকে ১৫-২০ গজ দূরত্বে একটি বাথরুম রয়েছে। সকালে তারা দেখতে পায় বাথরুমে তালা দেওয়া। তখন প্রতিবেশি কেউ তালা দিয়েছে কি না জানতে চেয়ে তালাটি ভেঙ্গে ফেলে। দরজা খোলার পর বাথরুমের মধ্যে একটি বাজারের ব্যাগ দেখতে পাওয়া যায়। বাজারের ব্যাগের মধ্যে লাল টেপ পেচানো তিনটি ককটেল সদৃশ বস্তু ছিল। এরপর তারা ৯৯৯ সম্বরে কল করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।”
পুলিশ সেখানে গিয়ে ককটেল সদৃশ বস্তুগুলো উদ্ধারের সময় বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানান মাজাহারুল। তিনি বলেন, “এই বিস্ফোরণে এসআই কামাল, কনস্টেবল মিজানসহ বাড়ির মালিক মাসুম স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। বিকট বিস্ফোরণে তাদের কানেও সমস্যা হয়েছে। তারা কানে কম শুনতে পাচ্ছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”