Beta
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গৌরনদীতে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মোটরবাইক।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মোটরবাইক।
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, বরিশাল

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজয়ী প্রার্থীর একাধিক সমর্থকদের বাড়িতে হামলা হয়েছে।

হামলাকারীরা বাড়ি-ঘর ভাংচুরের পাশাপাশি আগুনও ধরিয়ে দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থকরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন বিজয়ী প্রার্থী মনির হোসেন। হারিছ তা অস্বীকার করেছেন।

এসব ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে আক্রান্তরা। গৌরনদী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রবিবার গৌরনদীয় ভোট হয়। এতে গৌরনদী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির বিজয়ী হন। পরাজিত হন গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছ।

বিএনপির বর্জনের মধ্যে এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। ফলে ক্ষমতাসীন দলটির একাধিক নেতা বিভিন্ন উপজেলায় নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মনির সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের পর রাতে বিভিন্ন স্থানে তার সমর্থকদের ওপর হামলা হয়।

“হঠাৎ করেই বিভিন্ন জায়গায় আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায় পরাজিত প্রার্থীর (হারিছুর রহমান) লোকজন।”

গৌরনদী পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের সহসভাপতি মো. ইখতিয়ার হোসেন হালদার, খোকন মল্লিকসহ বেশ কয়েকজনের বাড়ি ভাংচুর হয়। পরাজিত ভাইস চেয়ারম্যান শিপ্রা রানী বিশ্বাসের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

শিপ্রা রানী বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। ফল ঘোষণার পর রবিবার রাতে হঠাৎ করেই পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা তার বাড়িতে হামলা চালায়।

“মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে গোয়ালঘর ও রান্নাঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাগ্যক্রমে বসবাসের ঘরে আগুন না দেওয়ায় প্রাণে রক্ষা পাই। হামলায় আমার এক মাসি আহত হয়েছেন।”

হামলায় আহত বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জানিয়ে মনির বলেন, ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে মামলা করা হচ্ছে।

শিপ্রা রানী বলেন, “ঘটনার পর রাতেই পুলিশসহ সবাই আমাদের বাড়িতে আসে। আমিও থানায় গিয়েছিলাম মামলা করার জন্য। তারা লিখিত অভিযোগ নিয়ে যেতে বলেছে। এখন সেই প্রস্তুতিই চলছে।”

এদিকে ওই রাতেই দিয়াসুর গ্রামে মো. ইখতিয়ার হোসেন হালদারের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসী জানায়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে কয়েকশ মোটরসাইকেল নিয়ে অনেক লোকজন গ্রামে ঢুকে পড়ে। তারা শুধু ইখতিয়ারই নন, মনিরের সমর্থক অনেকের বাড়িতেই হামলা চালায়।

পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা ইখতিয়ার বলেন, তার বাড়ি ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছের বাড়ি একই গ্রামে। হারিছ পরাজিত হওয়ার জন্য তার সমর্থকরা ইখতিয়ারকে দায়ী করছে।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে হারিছ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, তিনি এসব ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকেদর বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

“এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। আর রাতের ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তারও করা যায়নি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত