উত্তাপটা টের পাওয়া যাচ্ছিল শহরের কাঁচিঝুলি মোড় থেকেই। লাল রঙের টুকরো টুকরো মিছিল একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে ময়মনসিংহ রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামের দিকে। মিছিল সাদা-কালো পতাকারও।
বুধবার ময়মনসিংহ স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল দেখতে গ্যালারি উপচে পড়েছে। যে ফাইনালে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের মুখোমুখি হয়েছে মোহামেডান। ম্যাচটি শুরু হয়েছে বেলা ৩টায়।
প্রায় ১৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষম স্টেডিয়ামের বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে বসুন্ধরা কিংসের সমর্থকদের লাল ব্যানার। একাংশে আমাদের মোহামেডান, মহা পাগল, মোহামেডান সমর্থক দল কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যানার ও পতাকা।
ফাইনালটা উপভোগ্য করতে সারাক্ষণ গলা ফাটিয়ে চলেছে দুই দলের সমর্থকেরা। মাঝে মাঝেই উঠছে ম্যাক্সিকান ওয়েভ। অথচ এই মাঠেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজন করেছে প্রিমিয়ার লিগ। কিন্তু লিগের ম্যাচে এত দর্শক কখনোই দেখা যায় না।
জয়নুল আবেদীনের শহরে মূলত ক্রিকেট সংস্কৃতি বেশি। রামচাঁদ গোয়ালা, সাইফুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান ঝড়ু থেকে হালের মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত- জাতীয় দলের কত কত নাম।
কিন্তু সেই শহরেই ফুটবলও রয়েছে। রয়েছে এর উন্মাদনা।
ময়মনসিংহ শহরের ফুটবলপ্রেমী দর্শক শহীদ বলছিলেন, “আসলে ফুটবল যে সাধারণ মানুষের, গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে শহরের সবার যে প্রিয় খেলা সেটাই প্রমাণ করে আজকের ময়মনসিংহের স্টেডিয়ামের এই দর্শক জনসমাগম। আমি এখানে সেভাবে কোনও প্রচার প্রচারণা, মাইকিং, ফেস্টুন বা অন্য কিছু দেখিনি। তার পরও যে এত স্বল্প প্রচার প্রচারণা পরও যে এত মানুষ খেলা দেখছে ফুটবলের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করছে, সেটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে বাঙালি মাত্রই ফুটবল প্রেমী।”
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে আছে মোহামেডোন। ৬৫ মিনিটে সাদা-কালোদের এগিয়ে নেন ইয়ানুয়েল সানডে। প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল গোলশূন্যভাবে।