বেশিরভাগ সময় জুড়ে বসুন্ধরা কিংসের ফরোয়ার্ডদের আটকে রাখল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। অথচ শেষ ১০ মিনিটে সেই দলটিই কিনা খেই হারিয়ে ফেলল! সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ড্রয়ের স্বপ্ন দেখা শেখ জামালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল বসুন্ধরা কিংস।
শুক্রবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে জয়ের এই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন দরিয়েলতন গোমেজ। ১টি গোল করেছেন রবসন রবিনহো।
কৌশল বদলে সফল ব্রুজোন
একের পর এক আক্রমণ শাণিয়েও ৭৯ মিনিট পর্যন্ত গোলের দেখা নেই বসুন্ধরা কিংসের। কোচ অস্কার ব্রুজোন স্বাভাবিকভাবেই কৌশল বদলালেন। মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনিকে তুলে নেন ম্যাচের ৬৯ মিনিটের সময়। বদলি হিসেবে মাঠে নামালেন ডিফেন্ডার তারিক কাজীকে।
কিন্তু তাকে পুরোপুরি রক্ষণে না খেলিয়ে আরও ওপরে তুললেন। আর ইয়ুলদাশভ বোবুরবেককেও রক্ষণ থেকে তুলে মিডফিল্ডে খেলালেন। শেখ জামালের রক্ষণে ততক্ষণে আক্রমণের ফোয়ারা ছুটছে।
অলআউট ফুটবলের এই কৌশলে সফল ব্রুজোনকে প্রথম গোলটি এনে দেন দরিয়েলতন। মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা লং বল ধরে প্রথমে বক্সে ঢোকেন রাকিব হোসেন। শেখ জামালের ডিফেন্ডার জয়নাল আবেদীনকে কাটিয়ে এরপর দারুণ একটা ক্রস দেন দরিয়েলতনকে। অরক্ষিত দরিয়েলতন হেডে দারুণ ফিনিশিংয়ে করেন ১-০।
শেখ জামালের বলার মতো আক্রমণ ছিল একটিই- ম্যাচের ৮৫ মিনিটে। একটি গোল শোধের চেষ্টা করেন তাদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড হিগর লেইতে। কিন্তু বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া লেইতের শটটি বার ঘেঁষে বাইরে যায়।
যোগ হওয়া সময়ে জোড়া গোল
ম্যাচের যোগ হওয়া সময়ের ৬ মিনিটে বাকি ২ গোল করেছে বসুন্ধরা কিংস। এই গোলে দরিয়লতনের বলের যোগানদাতা মিগেল ফেরেইরা। দারুণ ডিফেন্স চেরা পাসে ফেরেইরা বল দেন দরিয়েলতনকে। এরপর সহজেই দরিয়েলতন প্লেসিংয়ে করেন ৩-০। লিগে এটি দরিয়েলতনের ৭ম গোল। প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
ম্যাচ শেষের খানিক আগে গোল করেন রবসন রবিনহো। এটাও ছিল চোখে লেগে থাকার মতো গোল। বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি কিক থেকে গোল করেন রবসন। মানব দেওয়ালের ফাঁক দিয়ে বল জড়ায় জালে। শেখ জামালের গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রীতম তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলেন সেই দৃশ্য। এটি ছিল প্রিমিয়ার লিগে রবসনের পঞ্চাশতম গোল।
ফর্টিসের ড্র রহমতগঞ্জের সঙ্গে
রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে ফর্টিস এফসি।
ফর্টিসের ১টি করে গোল করেছেন জাসুর জুমায়েভ ও পা ওমর বাবু। রহমতগঞ্জের গোল দুটি করেন দাওদা সিসে ও আর্নেস্ট বোয়াটেং।