মনে হচ্ছিল, এবারই হয়তো শেষ। ইউরোপা লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত যে পিছিয়ে বায়ার লেভারকুসেন। কিন্তু না, ২০২৩-২৪ মৌসুমে তারা যে না হারার মানসিকতা দেখিয়ে আসছে, সেটি আরেকবার মঞ্চায়িত হলো ওয়েস্ট হামের মাঠে। শেষ মুহূর্তে গোলে ড্র করে ইউরোপিয়ান ফুটবলে নতুন রেকর্ড গড়ল জাবি আলোনসোর দল।
ঘরের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ ২-০ গোলে জিতেছিল লেভারকুসেন। ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারতেও ক্ষতি ছিল না। তখন ২-১ অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে পৌঁছে যেত। কিন্তু চলতি মৌসুমে দাপুটে ফুটবলে নতুন ইতিহাস লেখা লেভারকুসেন এই ফলে নিশ্চিতভাবেই সন্তুষ্ট হতে পারতো না। সেকারণেই ১৩ মিনিটে গোল হজম করার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে গেছে। শেষ পর্যন্ত সফল হয় ৮৯ মিনিটে। যখন জেরেমি ফ্রিম্পংয়ের গোলে ১-১ গোলের ড্রতে শেষ করে ম্যাচে।
এই ড্রতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলের অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে জার্মান ক্লাবটি। তাতে ট্রেবল জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে লেভারকুসেন। এরই মধ্যে আলোনসোর দল জিতে নিয়েছে বুন্দেসলিগা। উঠে আসে জার্মান কাপের ফাইনালে। আর এবার শেষ চার নিশ্চিত করল উয়েফার আয়োজিত দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতার।
ইউরোপা লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার পথে নতুন এক রেকর্ড গড়েছে লেভারকুসেন। এ নিয়ে টানা ৪৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকল তারা। এর আগে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের বিচারে ৪৩ ম্যাচ অজেয় থেকে রেকর্ডটা নিজেদের কাছে রেখেছিল জুভেন্টাস। ওয়েস্ট হামের মাঠ থেকে ড্র করায় ইতালিয়ান ক্লাবের রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় বসল জার্মান ক্লাবটি।
২০১১ সালের মে থেকে ২০১২ সালের মে পর্যন্ত- এক বছরে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৩ ম্যাচ অপরাজিত ছিল জুভেন্টাস। রূপকথার জন্ম দিয়ে এবার লেভারকুসেন তাদের রেকর্ড ভেঙে দিল। আলোনসোর দল জার্মানির তৃতীয় ক্লাব হিসেবে নিশ্চিত করল চলতি মৌসুমের ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল। এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
স্বপ্নের এই পথচলায় লেভারকুসেন ৪৪ ম্যাচে করেছে ১২৪ গোল। এবারের মৌসুমে কেবল একটি ম্যাচেই গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে আলোনসোর দল। এ বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে যখন গোলশূন্য ড্র করেছিল বরুসিয়া মুনশেনগ্লাডবাখের সঙ্গে। আর তারা সবশেষ হেরেছিল ২০২২-২৩ বুন্দেসলিগা মৌসুমের শেষ দিনে। বোচুমের মাঠ থেকে সেদিন ফিরেছিল ৩-০ গোলে হেরে।
