ফল
মুনশেনগ্লডবাখ ২ : ৩ লেভারকুজেন
পিএসজি ৬ : ০ মঁপেলিয়র
সেভিয়া ১ : ২ ভিয়ারিয়াল
সেল্তা ভিগো ৩ : ১ ভ্যালেন্সিয়া
সেই ১৯৯২-৯৩ মৌসুমের পর কোনও শিরোপা ছিল না বায়ার লেভারকুজেনের। জার্মান দলটিকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে বলা হতো ‘নেভারকুজেন’। জাবি আলনসো কোচ হওয়ার পর বদলে গেছে তারা। হারার আগে না হারার মানসিকতা নিয়ে গত মৌসুমে অপরাজিত থেকে জিতেছে বুন্দেসলিগা আর জার্মান কাপ।
নতুন মৌসুমটাও শুরু করেছে জার্মান সুপার কাপ জিতে। তাদের অনেক জয়ই এসেছে একেবারে শেষ বাঁশি বাজার সামান্য সময় আগের গোলে। একই রকম জয়ে নতুন মৌসুমের বুন্দেসলিগাও শুরু করল লেভারকুজেন। প্রথম ম্যাচে মুনশেনগ্লডবাখকে পিছিয়ে পরে তারা হারাল ৩-২ গোলে।
জয়সূচক গোলটা এসেছে ইনজুরি টাইমের ১২তম মিনিটে। তাও পেনাল্টি থেকে। ফ্লোরিয়ান উইর্টজের পেনাল্টি প্রথমে ঠেকিয়েছিলেন গোলরক্ষক। কিন্তু ফিরতি বল জালে জড়িয়ে জাবির দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান তিনি। বারবার শেষ বেলার এমন নাটকীয় জয়ে তাদের নামই হয়ে গেছে ‘লেটারকেুজেন’।
গত মৌসুম থেকে ইনজুরি টাইমে সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ১২তম জয় পেল লেভারকুজেন। ইউরোপে মর্যাদার পাঁচ লিগের যে কোনও ক্লাবের চেয়ে যা ৪ জয় বেশি। এজন্যই তো ‘লেটারকুজেন’ ডাকা হচ্ছে তাদের।
১২ মিনিটে গ্রানিত জাকা ও ৩৮ মিনিটে ফ্লোরিয়ান উইর্টজের গোলে ২-০তে এগিয়ে ছিল লেভারকুজেন। ৫৯ মিনিটে নিকো এলভেদি আর ৮৫ মিনিটে টিম ক্লেইনডিয়েন্সটের গোলে সমতা ফেরায় মুনশেনগ্লডবাখ। এরপরই ইনজুরি টাইমের নাটকে রোমাঞাচকর জয়ে মৌসুম শুরু করল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এদিকে এমবাপ্পে ক্লাব ছাড়লেও ফ্রেঞ্চ লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে পিএসজি। শুক্রবার তারা ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে মঁপেলিয়রকে। প্রথম ম্যাচে লে হাভরেকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল তারা।
লা লিগায় সেল্তা ভিগো ৩-১ গোলে ভ্যালেন্সিয়াকে আর ভিয়ারিয়াল ২-১ গোলে হারিয়েছে সেভিয়াকে।