শ্রীলঙ্কাকে ২৮০ রানে আটকে দিলেও সিলেট টেস্টের প্রথম দিন শেষে একটু পিছিয়ে বাংলাদেশ। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের চেয়ে এখনও ২৪৮ রানে পিছিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তরা। উইকেটে অপরাজিত ৯ রান করা মাহমুদুল হাসান জয় ও তাইজুল ইসলাম (০)।
২০২ রানের বিশাল জুটি। বাংলাদেশ ফিল্ডারদের কাঁধ ততক্ষণে একটু ঝুলে পড়েছে। কিন্তু অভিষিক্ত নাহিদ রানা হয়তো কাঁধ শক্তই রেখেছিলেন। একের পর এক ১৪৫ ছাড়ানো গতিতে বল করেই যাচ্ছিলেন। ৮ ওভারে ৭৯ রান দিয়ে বসেছেন ততক্ষণে। তাতে কি! বিশ্বাস রেখেছিলেন।
সেই বিশ্বাস সুফল বয়ে আনল নাহিদ রানার হয়ে। বিশাল জুটি তো ভাঙ্গলেনই, জোড়া সেঞ্চুরিয়ানদের তুলে নিলেন পরপর দুই ওভারে। এরপর আরও এক ওভারে উইকেট নিয়ে টানা তিন ওভারে তিন উইকেট পূর্ণ করেন। নাহিদ রানার গতিতেই স্বস্তি পেল বাংলাদেশ।
রানার তিন আঘাতে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ শেষ হয়। লেজের ব্যাটাররা খুব বেশি টানতে ব্যর্থ হওয়ায় ৬৮ ওভারে ২৮০ রানে শেষ হয় শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস। মাত্র ১৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
বোলাররা এমন ভালো শুরু এনে দিলেও দিনটা হতাশায় শেষ হয়েছে বাংলাদেশের। নাজমুল হোসেন শান্তর দল প্রথম দিন শেষ করেছে ৩২ রানে ৩ উইকট হারিয়ে।
জাকির হাসান ৯, নাজমুল হোসেন শান্ত ৫ আর মুমিনুল হক ফিরেছেন ৫ রানে। মাহমুদুল হাসান জয় ৯ আর তাইজুল ইসলাম অপরাজিত আছেন ০ রানে।
দুর্দান্ত দুটি উইকেট ছিল রানার। তার অভিষেক উইকেটের নাটকীয়তা ছিল দেখার মতো। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে দারুণ ড্রাইভে চার মেরে অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন কামিন্দু মেন্ডিস। ঠিক পরের বলেই তাকে দারুণ বাউন্সারে আউট সাইডএজ করিয়ে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন রানা। যা তার প্রথম টেস্ট উইকেট।
নিজের পরের ওভারে অপর সেঞ্চুরিয়ানকে ফেরান রানা। এবার তার খাট লেন্থের বলে পুল করে থার্ডম্যানে উড়িয়ে মানের ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। বাউন্ডারী লাইনে বেকায়দার পড়তে নিয়েই দৃঢ়তার সঙ্গে বল তালুবন্দি করেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
স্পেলের তৃতীয় ওভারে এসে প্রবাথ জয়াসুরিয়াকেও কামিন্দু মেন্ডিসের মতো উইকেটের পেছনে ক্যাচ আউট করেন রানা। তার এক্সট্রা বাউন্স হয়ে ওঠা বলটিতে ব্যাট ছোঁয়ানো ছাড়া কিছুই করতে পারেননি ১ রান করা জয়াসুরিয়া। দ্রুত তিন উইকেট নিয়ে দারুণ ভাবে ম্যাচ ফেরে বাংলাদেশ।