ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন জানিথ লিয়ানাগে। এই ব্যাটারের স্মরনীয় দিনটিতে অবশ্য দল ভালো করেনি। ভাগ্যিস তার ব্যাট চওড়া হয়েছিল। নয়তো দুইশো ছাড়ানো স্কোর কঠিন হতো শ্রীলঙ্কার জন্য। লিয়ানাগের ১০২ বলে ১০১ রানে নির্ধারিত ওভার শেষে ২৩৫ রানে অলআউট হয় সাফরকারীরা।
পুরো ইনিংসজুড়ে বাংলাদেশ বোলারদের সামনে লঙ্কান ব্যাটাররা খেই হারিয়েছেন। লিয়ানাগেই ছিলেন ব্যতিক্রম। শুরু থেকে ইনিংস সাজিয়েছেন ধীরে, পরের দিকে কিছু শট খেলেছেন। ১৫ রান করা মাহেশ থিকসানাকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েছেন। এই জুটিতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।
সিরিজ নির্ধারনী লড়াইয়ে শুরু থেকে শ্রীলঙ্কান ব্যাটারদের চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ বোলাররা। তাসকিন আহমেদ-মোস্তাফিজুর রহমান-মেহেদি হাসান মিরাজদের হাত খুলে খেলতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় বড় জুটিও হয়নি তাদের।
আগের ম্যাচগুলোর মতো এবারও শুরুতেই উদ্বোধনী জুটিতে ভাঙ্গন ধরান বাংলাদেশ পেসাররা। ৪ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকেই সাজঘরে পাঠান তাসকিন। এদিন নতুন বলে সবুজ পিচে তাসকিন আহমেদের বল হয়ে উঠেছিল দুর্বোধ্য।
তাই গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করা পাথুম নিশাঙ্কা এবার ৮ বলে মাত্র ১ রান করে এলবিডব্লিউয়ের শিকার। ফর্ম হারানো আভিস্কা ফার্নান্দো আরও একবার ব্যর্থ হলেন ৬ বলে মাত্র ৪ রান করে।
উইকেটের সুবিধা নিয়ে একাদশে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমানও নিজেকে ফিরে পেলেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজে খরুচে বোলিং করা মোস্তাফিজ এ ম্যাচে রান কম দেয়ার পাশাপাশি দুই উইকেট তুলে নিয়েছেন।
২৫তম ওভারের শেষ বলে আগের ম্যাচে ভালো করা চারিথ আসালাঙ্কাকে ফেরান ফিজ। আসালাঙ্কা ৪৬ বলে ৫ চারে ৩৭ রান করে মুশফিককে ক্যাচ দেন। এর আগে সাদিরা সামারাবিক্রমাকেও মাত্র ১৪ রানে কট বিহাইন্ড করে আউট করেছেন মোস্তাফিজ।
দুই পেসারের মাঝে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনও উইকেট নিয়েছেন। লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটে পরিণেত করেছেন এই তরুণ। এছাড়া দুই উইকেট নেন মিরাজ। তাসকিন মোট ৩ উইকেট নিয়েছেন। ইনিংসে চারটি ক্যাচ নেন মুশফিক।