টানা রান করে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ে সাবলীল হয়ে উঠছেন। রংপুর রাইডার্সের হয়ে পরপর দুই ম্যাচে পেলেন ফিফটি, ষাটোর্ধ্ব ইনিংস এসেছে দুই ম্যাচেই। এর আগের দুটো ম্যাচে ছিল ত্রিশ ছাড়ানো দুই ইনিংস। এমন ব্যাটিংয়ের পরও চোখের সমস্যার কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে সাকিব জাতীয় দলে নেই।
শুক্রবার রংপুরের বড় রানের উৎস ছিলেন সাকিব। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৫২ রানে দলের ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ক্রিজে যান অষ্টম ওভারে। এক প্রান্ত আগলে খেলে ইনিংসের ১৯তম ওভারে থেমেছেন। পুরোটা সময় ব্যাট চালিয়েই খেলেছেন সাকিব। স্পিনারদের বিপক্ষে আগেই খেলা শুরু করেছিলেন সাবলীলভাবে, দুই ম্যাচ ধরে পেসারদেরও সামলাচ্ছেন।
ইনিংসে মোট ৩৯ বল খেলে ৫টি চারও ৩ ছক্কায় ৬২ রান করেছেন সাকিব। ৩৪ রান করা শেখ মেহেদিকে নিয়ে গড়েছেন ৬৮ রানের জুটি। ২০ ওভার শেষে তার দল ৮ উইকেটে ১৮৭ রান করেছে।
সাকিব ছন্দে ফিরলেও শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য ঘোষিত দলে তাকে রাখা হয়নি। চোখের সমস্যার কারণে অস্বস্তি পুরোপুরি কাটিয়ে উঠেননি। তা ধরে নিয়েই বিসিবি টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে সাকিবকে রাখেনি। তবে আশা আছে টেস্টে তাকে পাওয়ার। যদিও সাকিবের ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করছে তার টেস্ট খেলা।
বিপিএলের পর চোখের চিকিৎসার পরবর্তী ধাপ পার করবেন সাকিব। বাম চোখের রেটিনায় ফ্লুইড জমে যাওয়ার এই সমস্যা ঔষধেও সেরে ওঠে। তবে সময় লাগে বেশি। বিপিএলের পর চোখের অবস্থা ভালো না হলে চিকিৎসার পরবর্তী ধাপ লেজার ট্রিটমেন্ট নিতে হতে পারে সাকিবকে। এমন কিছু হলে অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টেও সাকিবের খেলা অনিশ্চিত।
তবে শুক্রবার ম্যাচ শেষে রংপুর কোচ সোহেল ইসলাম যেমনটা বলেছেন তাতে সাকিব এখন ফিট বলাই যায়। কঠিন সময়ে পাশে থেকে সাকিবকে ফর্মে ফেরাতে রংপুরের সবাই ভূমিকা রেখেছেন বলে জানান সোহেল।
“আমরা সবাই মিলে পাশে ছিলাম। টিম মালিকরাও ব্যাক করেছে। ওর সময় দরকার ছিল, শুধু যে চোখের সমস্যা তা না, ফিটনেসও মার্কে ছিল না। আমরা ওর জন্য সময়টা বের করার চেষ্টা করেছি। আমরা জানি সে যদি ফিট হয়ে যায় তো ওর পুরোনো যে ঝলক তাতে সে ফিরতে পারবে।”
বিপিএলে সাকিব পুরোনো ঝলকে ফিরেছেন। তবে জাতীয় দলে কবে ফিরবেন তা বিরাট প্রশ্ন।
তবে সাকিবের দল এগিয়ে যাচ্ছে শীর্ষে থেকে প্লে অফে পা রাখার দিকে। চট্টগ্রামকে হারিয়ে ১০ ম্যাচ থেকে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা।
রংপুরের ১৮৭ রানের পেছনে ছুটে ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল চট্টগ্রাম। রোমারিও শেফার্ড দলটিকে জয়ের স্বপ্ন দেখালেও বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় স্বাগতিকরা সফল হয়নি। শেফার্ড ৩০ বলে ৬ ছক্কা ও ৫ চারে ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।