ওপেনিংয়ে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গী হওয়ার কথা সৌম্য সরকারের। কিন্তু ফিল্ডিংয়ের সময় ব্যাথা পাওয়ায় ব্যাট করতে পারেননি সৌম্য। তার কনকাশন বদলি হিসেবে ওপেনিংয়ে নেমেছেন তানজিদ হাসান তামিম।
ফিল্ডিংয়ের সময় মনে হচ্ছিল হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছেন সৌম্য। কিন্তু পরে জানা যায় কনকাশনের লক্ষণ আছে তার। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা কথা বলেন আম্পায়ারদের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত সৌম্যর বদলী হিসেবে তানজিদকে মেনে নিয়েছেন তারা।
তবে সামিাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে বিসিবির। কিনুরা দিয়াস নামে এক লঙ্কান সমর্থক লিখেছেন, ‘‘হাঁটুতে ব্যথা পাওয়ার পর কীভাবে কনকাশন হন সৌম্য। বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের উত্তাপ আরও বাড়বে সৌম্য ইস্যুতে।”
সৌম্য বাউন্ডারী লাইনে বল ধরতে গিয়ে হাঁটুতে আঘাত পান। শেষ ওভারে হওয়া ওই ঘটনায় পড়ে গিয়ে কাঁধেও টান লাগে তার। কনকাশন নিয়ম অনুযায়ী কোন ক্রিকেটারের মাথায় বা ঘাড়ে আঘাত লাগলে বা অস্বস্তি হলে এবং ওই সময় খেলা চালিয়ে যেতে অপারগ কলে কনকাশন বদলী প্রয়োজন হবে। এ নিয়মেই ঘাড়ে আঘাত পাওয়া সৌম্য কনকাশন বদলী হয়েছেন।
জাতীয় দলের ফিজিও বিসিবির দেয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “বাউন্ডারী লাইনে ফিল্ডিংয়ের সময় খুব বাজে ভাবে পড়ে যান সৌম্য। এতে তার মাথা মাটিতে বাড়ি লাগে। ওই সময় ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন সৌম্য এবং চোখে ঝাপসা দেখছিলেন। এতে সৌম্যর কনকাশন বদলী হওয়ার প্রয়োজন হয়। নিয়ম মতো আমরা আবেদন করলে ম্যাচ রেফারি তা গ্রহণ করেন। সৌম্যর কনকাশন বদলী হিসেবে তানজিদ হাসান তামিমকে খেলার অনুমতি দেন।”
ফিল্ডিংয়ের সময় ক্যাচ ধরতে গিয়ে এনামুলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর মাঠ ছেড়েছিলেন জাকের আলী। হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাকে। তিনি ফিল্ডিংয়ে নেমেছিলেন সৌম্যর বদলি হিসেবে।
এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমানও ইনজুরিতে পড়েছেন। বোলিং করার সময় বারবার পেটে হাত দিয়ে বসে পড়ছিলেন তিনি। অসুস্থ বোধ করায় তাকেও স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নেয়া হয়।