Beta
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

৪৮০ রানে পিছিয়ে থেকেও জয়ের কথাই ভাবছে বাংলাদেশ

দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৪৭ রানের বেশি এগোতে পারেনি এই জুটি। ছবি : বিসিবি
দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৪৭ রানের বেশি এগোতে পারেনি এই জুটি। ছবি : বিসিবি
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

[publishpress_authors_box]

ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প প্রতীকী অর্থে ৪৮০ রানে পিছিয়ে থাকার কথা বলেছেন। আসলে বাংলাদেশ চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এখনও ৪৭৬ রানে পিছিয়ে আছে। আগে এই রান করতে হবে। এরপর সামনে তাকানোর প্রশ্ন। পথটা অনেক কঠিন তবুও আশাহত নন হেম্প। বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয় টেস্টে এখনও জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১ উইকেটে ৫৫ রানে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ৫৩১ রানের চেয়ে স্বাগতিকরা এখনও ৪৭৬ রানে পিছিয়ে। উইকেটে অপরাজিত আছেন ৩৯ বলে ৫ চারে ২৮ রান করা জাকির হাসান। অপর ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের বিদায়ে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাইজুল অপরাজিত আছেন ০ রানে।

প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা কাটিয়ে দুই ওপেনার এই টেস্টে ৪৭ রানের জুটি গড়েন। ৫ সেশন ফিল্ডিংয়ের ক্লান্তি ছাপিয়ে ভালোই ব্যাট করছিলেন দুই ওপেনার। দিন শেষ হওয়ার তিন ওভার আগে জয় ৪২ বলে ২১ রানে বোল্ড হন লাহিরু কুমারার বলে।

টেস্টের আর তিনদিন বাকি। প্রথম ইনিংসে বড় রানের চাপে পড়ায় অনেকটা পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় জয়ের চিন্তা করা যে অবাস্তব তা জানেন হেম্প, “ব্যক্তিগত ভাবে বলবো এই টেস্ট আমরা জিততে চাই। ৪৮০ রানে পিছিয়ে থেকে এমন চিন্তা করাটা উদ্ভট মনে হতে পারে। কিন্তু কীভাবে আমরা জিততে পারি?”

তবুও পরিকল্পনা মতো এগিয়ে লক্ষ্য পূরণ করার কথা বললেন এই কোচ, “প্রথমত আমাদের আগামীকাল (সোমবার) পুরোটা সামলাতে হবে। এরপর চতুর্থ দিন। তো প্রথমত ব্যাটিংয়ের দিক থেকে কাল আমাদের তিনটি সেশন ভালো করতে হবে। এরপর ম্যাচ কোথায় গড়ায় তা কেউই বলতে পারে না। তো একটা ম্যাচে সবসময়ই জয়ের জন্য ভাবতে হয়। আমরাও তাই করছি।”

এই টেস্টে বিশাল রান চাপায় পড়তে হতো না বাংলাদেশকে। কিন্তু ক্যাচ মিসে বোলারদের কষ্ট বৃথা যায়। হেম্প সেটাই ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, “আমরা দুই দিন ধরে দেখছি। এই পিচে বোলারদের জন্য কিছুই নেই, খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট। এমন পিচে বোলাররা খুব কষ্ট করে আউটের সুযোগ তৈরি করে। ফিল্ডারদের উচিত সেই সুযোগগুলো কাজে লাগানো। ক্যাচ মিস আমাদের জন্য নিয়মিত একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি, সামনেও করবো।”

চলতি টেস্টে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসে ৫টির মতো ক্যাচ ফেলেছেন বাংলাদেশ ফিল্ডাররা। তবে সবচেয়ে আলোচিত ছিল প্রবাথ জয়াসুরিয়ার দেয়া প্রথম স্লিপের ক্যাচটি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন, শাহাদাত হোসেন দিপু ও জাকির হাসান তিনজন মিলেও ওই ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হন।

হেম্পের কাছে মনে হয়েছে ওই ক্যাচটি ধরার সবচেয়ে উপযোগী ছিলেন দ্বিতীয় স্লিপে থাকা দিপু। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হয়নি, “এটা সত্যি অদ্ভুত। এরকম ক্যাচ বা উদাহরণ আমরা খুব একটা দেখি না। আমি মনে করেছিলাম দিপুর পক্ষে ওই ক্যাচটা ধরা সবচেয়ে সহজ ছিল। দিপু ও জাকির দুজনই শর্ট লেগ বা সিলি পয়েন্টে ফিল্ডিং করে। ওদের জন্য এরকম বাধা পাওয়া বল ধরা একটু সহজ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আজ হয়নি।”

ক্যাচ মিসের দুর্ভাগ্যে বড় মাশুল দিয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্ট খালি চোখে বাংলাদেশের পক্ষে জেতা অসম্ভব। বড় জোড় টেস্টটি ড্র করতে পারেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। তার জন্য লঙ্কানদের মতো ব্যাটিং করতে হবে। বাংলাদেশ সেই চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে তো।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত