সিলেট টেস্টের মতো বিশাল লক্ষ্য বাংলাদেশের সামনে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। তাতে ৫১১ রানের টার্গেট দাঁড়ায়।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ৮ ওভারে বিনা উইকেটে ৩১ রান করেছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ১৯ ও জাকির হাসান ১১ রানে অপরাজিত।
৫১১ রানের লক্ষ্যে ছুটে টেস্ট জয় অসম্ভবই বলা চলে। তবে হাতে প্রায় পাঁচ সেশন আছে বাংলাদেশের। তাই সবগুলো সেশন ব্যাট করার পরিকল্পনা দাঁড় করানোই যায়। পাঁচ সেশন ব্যাট করলে টেস্ট জয় না হলেও টেস্ট ড্র করা অবশ্যই সম্ভব।
শঙ্কাটা এখানেই। টেস্টে গত পাঁচ ইনিংস ধরে দুইশো পার করতে পারছে না বাংলাদেশ। প্রতিবারই ব্যাটিং ব্যর্থতা সঙ্গী করে হতাশায় ডুবতে হচ্ছে। ম্যাচও হারতে হচ্ছে বিনা লড়াইয়ে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে হার এড়াতে এই ইনিংসে অতীত পরিবর্তন করতে হবে বাংলাদেশকে।
দায়িত্বটা অবশ্যই ব্যাটারদের কাঁধে। অতি শট খেলার ভুল শুধরে টেস্ট মেজাজের পরীক্ষা দিতে হবে তাদের। চট্টগ্রামের উইকেটে চতুর্থ দিনেও বোলারদের জন্য খুব বেশি কিছু ছিল না। তাই ব্যাটাররা লম্বা ইনিংস খেলার ভরসা করতেই পারেন। সেই কাজটা দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ভালোই করছেন জয় ও জাকির।
এর আগে দিনের প্রথম সেশনে তৃতীয় দিন ফিরিয়ে আনতে পারেনি বাংলাদেশ বোলাররা। সোমবার লঙ্কানদের দ্বিতীয় ইনিংসে নতুন বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন পেসাররা।
চতুর্থ দিন শুরু থেকে সেই ধারাবাহিকতা ছিল না। তাই ৪ উইকেট নেয়া হাসান মাহমুদের টেস্ট অভিষেকে ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়ার স্বপ্ন অধরাই থাকল।
বোলারদের সামলে ভালোই এগিয়ে চলছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। অবশ্য তাকে ৭৪ বলে ৫৬ রানে বোল্ড করেছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে টাইমড আউট ঘটনার দুই কুশীলবের লড়াই যেন।
ম্যাথিউস ফিরলে লক্ষ্যটা ৫০০ ছাড়ানোর অপেক্ষা করছিল শ্রীলঙ্কা। বিশ্ব ফার্নান্ডোকে (৮) নিয়ে প্রবাথ জয়াসুরিয়া (২৮) সেই লক্ষ্য পূরণ করলে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।
