চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন সবমিলিয়ে ১৫ উইকেট পড়েছে। যার ৬টি বাংলাদেশ বোলারদের। দিনের শেষ সেশনে ওই ৬ উইকেটে একটু স্বস্তি মিলেছে। ব্যাটিং ব্যর্থতার বিরাট ঘায়ে প্রলেপ দেয়া গেছে কিছুটা। তবুও ৮২ রানে ৯ উইকেট হারানো পিছিয়ে রাখছে বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েও তাই টেস্টে এগিয়েই থাকছে লঙ্কানরা।
বাংলাদেশ ১৭৮ রানে অলআউট হওয়ায় ৩৫৩ রানে এগিয়ে ছিল শ্রীলঙ্কা। অনায়াসেই স্বাগতিকদের ফলোঅন করানো যেত। লঙ্কানরা সে পথে হাঁটেনি। শেষ ইনিংসে ব্যাট করার ঝুঁকি এড়িয়ে যেতেই দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে যায় তারা।
তাই বলে এবার প্রথম ইনিংসের মতো রান তোলা সহজ ছিল না লঙ্কান ব্যাটারদের জন্য। অভিষিক্ত পেসার হাসান মাহমুদ ৪ উইকেট নিয়ে বিপদেই রেখেছেন লঙ্কানদের। সঙ্গে খালেদ আহমেদের ২ উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে কম রানে শ্রীলঙ্কাকে আটকে রাখার সম্ভাবনা আছে। তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার ভরসা হয়ে আছেন ৩৯ রানে অপরাজিত থাকা অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ৩৯ ও ৩ রান করা প্রবাথ জয়াসুরিয়া।
বোলিং সাফল্যের এই সেশনেও সেই ক্যাচ মিসের হাহাকার আছে। অষ্টম ওভারের শুরুতে ম্যাথিউসের ক্যাচ ধরতে পারেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। ৭ রানেই এই ব্যাটারকে ফেরানোর সুযোগ ছিল। জীবন পেয়ে এক প্রান্ত আগলে দলের রান এগিয়ে নিচ্ছেন ম্যাথিউস। দিপু ক্যাচটি না ছাড়লে অভিষেকে ৫ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়তেন হাসান।
এর বাইরে ২৫ ওভারের এই সেশনটিতে দাপট দেখিয়েছেন বোলাররা। অভিষিক্ত হাসান তুলে নেন ৪ উইকেট। দিমুথ করুনারত্নেকে ৪ রানে বোল্ড করে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের শুরু তার। পরে দিনেশ চান্দিমালকে ৯ রানে স্লিপে ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ১ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন। এছাড়া ৩৪ রান করে বাংলাদেশের বাধা হয়ে ওঠা মাদুশকাকেও ফেরান।
অন্যপ্রান্ত থেকে ২ উইকেট নিয়েছেন খালেদ। কামিন্দু মেন্ডিসকে দারুণ ডেলিভারিতে আউট করেন ৯ রানে। বল তার ব্যাটে লেগে লিটনের হাতে ধরা পড়লেও আম্পায়ার আউট দেননি। খালেদ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে রিভিউ নিতে বাধ্য করেন। এইক্ষেত্রে সফল হয় বাংলাদেশ। এর আগে কুশল মেন্ডিসকে ২ রানে সরাসরি বোল্ড করেন খালেদ।
বোলারদের এমন দুর্দান্ত সেশনের পরও স্বস্তি নেই বাংলাদেশের। কারণ লিডটা যে ৪৫৫ রান হয়ে গেছে। চতুর্থ দিন শুরুতেই দ্রুত বাকি চার উইকেট না নিলে সিলেট টেস্টের মতো আবারও ৫০০ রানের টার্গেটে চাপা পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।