চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে সিরিজে ফেরার লক্ষ্য বাংলাদেশের। সেই লক্ষ্যের শুরুটা সুখকর হলো না। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিন পুরোটাই বাংলাদেশের জন্য ছিল ক্লান্তিকর। স্বস্তি শুধু দুই লঙ্কান ব্যাটারকে সেঞ্চুরির আগেই ফেরানো। তবুও দিন শেষে ৪ উইকেটে ৩১৪ রান করে এগিয়েই থাকল সফরকারীরা। দিনেশ চান্দিমাল ৩৪ ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ১৫ রানে অপরাজিত আছেন।
দিনের প্রথম সেশনে হাসান মাহমুদের বলে দুটো ক্যাচ ফেলেন মাহমুদুল হাসান জয় ও সাকিব আল হাসান। দুই ওপেনার দ্বিতীয় জীবন পেয়ে ফিফটি ছাড়ানো স্কোর করেন।
৯ রানে জীবন পাওয়া নিশান মাদুশকা করেন ৫৭ আর ২২ রানে জীবন পাওয়া দিমুথ করুনারত্নে থামেন ৮৬ রানে। অথচ প্রথম সুযোগেই দুই ওপেনারকে ফেরানো গেলে ১১২ রান কম হতো শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ডে। তখন দিন শেষে উইকেটের কলামটাও অন্যরকম হতো।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে তাই হতাশার দিনই শেষ করতে হলো বাংলাদেশ বোলারদের। দিনের প্রথম সেশনে কোনও উইকেট আসেনি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনে দুটো করে উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ।
চার উইকেটের দুটো পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। দিনের শুরুতে অভিষেক টেস্ট ক্যাচ পেয়েছেন সাকিবের হাত থেকে। নিজের তৃতীয় ওভারেই মাদুশকাকে ফিরিয়ে অভিষেক টেস্ট উইকেট না পাওয়া দুর্ভাগ্য এই পেসারের জন্য।
অবশ্য পরে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে প্রথম টেস্ট উইকেটের আনন্দ করেছেন হাসান। উইকেটে সেট হওয়া দিমুথ করুনারত্নেকে বোল্ড করেন। পঞ্চম স্ট্যাম্পে একটু স্লোয়ার ধরনের বল করেন হাসান। বল যথেষ্ট গতিময় ছিল না। তাই আগেই ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হন করুনারত্নে।
শেষ সেশনে আবারও উইকেট নেন হাসান। এবার তার বলে খেলবেন কিনা এই দ্বিধায় যথাসময়ে বল ছাড়তে পারেননি ২৩ রান করা ম্যথিউস। তাতে বল আউটসাইডেজ হয়ে তৃতীয় স্লিপে থাকা মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে যায়। এ দুই উইকেটের মাঝে ৯৩ রান করা কুশল মেন্ডিসকে স্লিপে মিরাজের ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব।
চট্টগ্রামে বরবারই টেস্টের প্রথম দিনের উইকেট থাকে ব্যাটিং সহায়ক। সেই সুবিধাটা পুরোপুরি আদায় করেছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিন পিচ কিছুটা ভাঙবে। ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রবিবার বোলাররা বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরাতে পারবে তো!