বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজের আগে ১০ বছর পিছনে ফিরতে হলো অ্যালিসা হিলিকে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের পিচ কেমন আচরণ করবে তা ভালোই জানা অজি অধিনায়কের। পিচ কাজে লাগিয়ে স্পিন শক্তিতে উজ্জ্বল বাংলাদেশকে নিজেদের জন্য হুমকি বললেন হিলি।
শক্তির পার্থক্যটা অনেক বেশি বলেই বাংলাদেশের সঙ্গে নিয়মিত ম্যাচ খেলা হয় না অস্ট্রেলিয়ান মেয়েদের। বাংলাদেশ দলটাই যখন তাদের কাছে অচেনা তখন মিরপুর তো আরও বড় রহস্য। তবুও অতীত অভিজ্ঞতা ও সবশেষ নারী আইপিএল থেকে অভিজ্ঞতা নিতে চান হিলিরা।
২০১৪ বিশ্বকাপে খেলা তিন ক্রিকেটার আছেন বাংলাদেশ সফররত অস্ট্রেলিয়া দলে। অস্ট্রেলিয়া পুরুষ দলের পেসার মিচেল স্টার্কের সহধর্মীনি অ্যালিসা হিলি, এলিস পেরি ও জেস জোনাসেন। বাংলাদেশের পিচগুলোর মধ্যে সিলেটে খেলেছিলেন তারা। এখানকার কন্ডিশন কেমন তা জানা আছে এ তিনজনের।
সেই অভিজ্ঞতা থেকে হিলি বলেছেন, “নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অনেক দলের জন্যই বাংলাদেশ বড় হুমকি। ওরা লড়াই করে এই সুনাম অর্জন করেছে। এখন তারা বিশ্বের বড় দলগুলোর বিপক্ষে নিয়মিত খেলার সুযোগও পাচ্ছে।”
হিলির চোখে এই সিরিজেও বাংলাদেশ স্পিন দিয়ে তাদের আঘাত করবে। নিকটঅতীতে বাংলাদেশ নারী দলের সাফল্যের রহস্য হিসেবে স্পিনকেই দেখছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার, “যদি বাংলাদেশের দিকে তাকাই ওদের বোলিং স্কিলটা খুব বৈচিত্যপূর্ণ। যেটা আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন। আর স্পিন সামলানো কিন্তু উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোর জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং।”
হিলি আরও যোগ করেন, “বাংলাদেশের স্পিন বৈচিত্রটা এত বেশি যে আলাদা করে কারও নাম উল্লেখ করা যায় না। আমরা দেখেছি সবশেষ ভারতের বিপক্ষে ওদের সেরা ব্যাটিং লাইনকে ওরা (বাংলাদেশ স্পিনাররা) কিভাবে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। আমরা ওই সিরিজের কিছু অংশ দেখেছি। আমাদের ব্যাটিং ইউনিটকেও ওই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।”