ঘরের মাঠে নারী জাতীয় দলের গত দুটি সিরিজে তাকানো যাক। দুটোতেই সাফল্য। ২০২৩ সালের জুলাইতে ভারত নারী জাতীয় দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-২ ব্যবধানে সিরিজ জয়। দুই সাফল্যে চোখ রেখে এবার বিশ্বসেরা অস্ট্রেলিয়া নারী জাতীয় দলের মুখোমুখি বাংলাদেশ।
অজি নারী দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ঘরের মাঠে ভালো করার সুখস্মৃতি জ্যোতিদের সাহস যোগাবে। তবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভালো কিছু করতে নিজেদের শক্তিটা কি? জ্যোতি জানালেন দেশের চেনা কন্ডিশনে। ঘরের মাঠ মিরপুরকে কাজে লাগিয়ে এলিসা পেরিদের সঙ্গে ভালো কিছু করতে চান জ্যোতি।
গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে নারী অধিনায়ক বলেছেন, “প্রথমত হচ্ছে হোম কন্ডিশন। (মিরপুরের) কন্ডিশনের দিক থেকে ওরা অনেক বেশি অচেনা কারণ কখনও যেহেতু খেলেনি এখানে। কিন্তু সম্প্রতি ওদের কয়েকজন ক্রিকেটার আইপিএল খেলে এসেছে। তো ভারত ও বাংলাদেশের কন্ডিশন তো প্রায় একই রকম…সেদিক থেকে ওরা একটু জেনে থাকবে যে এখানে কিভাবে খেলতে হয়।”
এরপর নিজেদের শাক্তির দিকে তাকাচ্ছেন জ্যোতি। গত বছরে ঘরের মাঠে দুটো সিরিজে ভালো করা এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো ম্যাচ জয়। ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা সব দলের বিপক্ষেই বোলাররা ভালো করেছেন। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফারজানা হকের সেঞ্চুরি আছে।
এই সব কিছুকেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফিরিয়ে আনতে চান জ্যোতি, “আমাদের শক্তির কথা যদি বলি, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকায় যখন খেলে এসেছি আমাদের ব্যাটিংটা বেশ শক্তিশালী মনে হয়েছে। আবার হোমে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে যখন খেললাম তখন বোলিংটা স্ট্রং মনে হয়েছে। এটা আসলে গুড সাইন যে দুই বিভাগই ভালো অবস্থানে আছে। এখন ব্যাপার হলো যে কালকের ম্যাচে কোন বিভাগ দলের জন্য বেশি অবদান রাখে।”
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দল নিজেদের ইতিহাসে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছে। ২০২২ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে অজিরা ৫ উইকেটে জিতেছিল। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নশিপের তিন ম্যাচে হোম কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভালো কিছু করতে চায় বাংলাদেশ।