ক্রিকেটে ঢাকার ওপর চাপ কমাতে ২০২২ সালে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা তৈরির পথে হাঁটে বিসিবি। এই প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখেছে। আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার জন্য অ্যাডহক কমিটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতি জেলার ওই কমিটির অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচিত কমিটিই আনুষ্ঠানিক ভাবে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
এই প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনার কমিটি তৈরি হলেও হয়নি বরিশালের অ্যাডহক কমিটি। বরিশালের পরিচালক আলমগীর হোসেন আলো অসুস্থ থাকায় অপেক্ষা করছে বিসিবি। তবে আঞ্চলিক কমিটি নির্বাচিত হয়ে এলেও শুরুতেই নিজেদের মতো ক্রিকেটীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। থাকতে হবে বিসিবির অধীনেই।
আঞ্চলিক কমিটিকে স্বতন্ত্র করে না দেয়ার কারণও আছে। গতকাল বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভায় আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা নিয়েই বেশি আলোচনা হয়। সেখানে শুরুতে সংস্থাগুলো কেমন ভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে তা দেখবে বিসিবি। আর্থিক ও ক্রিকেটীয় কার্যক্রম পরিচালনায় তাদের সফল মনে হলে তবেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণ করবে বিসিবি।
আঞ্চলিক কমিটি কেমন করবে তা যাচাই করার প্রক্রিয়াও ঠিক করেছে বিসিবি। শুরুতে বিভাগগুলোকে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য ২০ লাখ টাকা করা দেয়া হবে বলে জানান বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন, “প্রথম কাজ ওদের দিয়েছি একটা টুর্নামেন্ট চালু করতে। পরীক্ষামূলক ধাপ হিসেবে, দেখার জন্য। এই টুর্নামেন্ট চালাবে তারা, যে কয়টা কমিটি করা হয়েছে। ২০ লক্ষ টাকা তাদের দেওয়া হবে।’
তবে এই সংস্থাগুলোকে আপাতত স্বাধীনতা দেওয়ার ইচ্ছা নেই বোর্ডের। তারা সক্ষম কিনা সেটা আগে বুঝতে চায় তারা, “এটা কেন্দ্রের হস্তক্ষেপমুক্ত হবে না। আপনারা ভুল বুঝছেন। একদম ঠিকভাবে আমি বলে দিচ্ছি। এটা হবে না, যতদিন পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট না হব যে তারা স্বাধীনভাবে চালাতে পারবে, ততদিন না। আমরা যে ২০ লাখ টাকা দিচ্ছি, সেটা পরীক্ষামূলক হিসেবে। সেটা দেখতে হবে কীভাবে খরচ হয়।”
“সক্ষমতা আগে দেখতে হবে আমাদের। না দেখে দিচ্ছি না। অন্ধভাবে দিয়ে দেব না। আপনি যদি এখনি ঢালাওভাবে বলে দেন যে, তারা স্বাধীন, যা খুশি তা করতে পারবে, তা না। আমরা আগে বুঝে নেই, দেখে নেই। তারপর ঠিক করব।”
গত বছর জুনে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার কার্যক্রম শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে পাপনের কাছ থেকে। এবার পথচলা শুরু করতে যাচ্ছে বিভাগীয় ক্রিকেট সংস্থাগুলো। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার মতো কতটা সফল হবে তাই দেখার অপেক্ষা।