বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) চলছে। রবিবারের এই সভায় বিসিবির নতুন রূপে আবির্ভাব হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ক্রিকেটের উন্নয়ন সংস্থা থেকে বিসিবি ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে পারে। সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে একটি প্রস্তাবনা পাশ হলে এই পরিবর্তনের বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
বিসিবির গঠনতন্ত্রের একটি ধারা সংশোধন করা হলে বিসিবি প্রয়োজনে ব্যাংক ঋণ নেয়া, এলসি খোলা, ঋণের বিপরীতে যেকোনো স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রাখতে পারবে। এছাড়া যে কোন ধরনের বাণিজ্যিক ও সামাজিক কার্যক্রমেও অংশ নিতে বিসিবির আর বাধা থাকবে না।
শুধু তাই নয় প্রস্তাবনাটি পাশ হলে লাভজনক বিনিয়োগ করা, বিভিন্ন উৎস থেকে আসা তহবিলের অর্থ এফডিআর করা এবং ট্রেজারি বন্ড কিনতেও বাধা থাকবে না।
আরেকটি ধারা সংশোধন করা হলে দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে সবধরনের সুবিধা উন্নয়নের লক্ষ্যে এক বা একাধিক ট্রাস্ট, কোম্পানি বা ফাউন্ডেশন গঠন করা যাবে। ভবিষ্যতে নিজস্ব টেলিভিশন ও সামাজিক ক্লাব বা ট্রাস্ট খোলার পরিকল্পনা আছে বিসিবির।
বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি ক্রীড়া ফেডারেশন হিসেবে আইনত বিসিবি এই কার্যক্রমগুলো না করতে পারে না। কিন্তু আজকের বার্ষিক সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্রে প্রস্তাবিত সংশোধনী পাশ হলে উপরোক্ত বিষয়গুলো নতুন আইন হয়ে উঠবে। তখন আর ওই বিষয়গুলোতে যে কোন পদক্ষেপে আর বাধা থাকবে না।
এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাওয়ায় বিসিবির সমালোচনা করছেন ক্রীড়া সংগঠক ও ব্যক্তিত্বরা। তাদের মতে এই সংশোধনী পাশ হলে বিসিবির ক্রীড়া উন্নয়নের আসল উদ্দেশ্য গৌণ হয়ে উঠবে। তবে বিসিবি গত সভাতেই এই প্রস্তাবনাগুলো অগ্রিম পাশ করিয়ে রেখেছে। এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে গঠনতন্ত্র হিসেবে পাশ হওয়ার অপেক্ষা।
সাধারণ সভা উপলক্ষ্যে প্রতিবারের মতো এবারও বিসিবির কাছ থেকে উপঢৌকন পাবেন বোর্ডের ১৭১ জন কাউন্সিলর। উপঢৌকন হিসেবে প্রত্যেক কাউন্সিলরকে দেওয়া হবে ১ লাখ টাকা ও একটি করে অ্যাপল কোম্পানির ল্যাপটপ।