প্রধান নির্বাচককে যেন সরতেই হতো। চারদিকের সমালোচনার পর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে বিদায় দিয়ে বিসিবি দায়িত্ব তুলে দিয়েছে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর হাতে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নতুন ভূমিকায় কাজ শুরু করবেন ১ মার্চ থেকে।
দেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ও মাঠের পারফরম্যান্সের প্রেক্ষাপটে প্রধান নির্বাচকের চেয়ারও খানিকটা ‘হট সিট‘-এর মতো হয়ে গেছে। তাই দল নির্বাচনের কাজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নতুন দায়িত্ব নিয়ে গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছেন, “দেশের প্রত্যেকটা মানুষই পারে একটি করে দল নির্বাচন করতে। নির্বাচকদের বেলায় প্রত্যেকটা সিরিজ মাথায় রেখে দল নির্বাচন করতে হয়। দেশে খেলা হলে একরকম বিবেচনা থাকে আর বিদেশে সিরিজের জন্য কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় নিয়ে খেলোয়াড় বাছাই করতে হয়। আবার বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট হলে আরেক ধরনের হিসাব-নিকাশ। এভাবেই নির্বাচকদের কাজ করতে হয়।” সাধারণ মানুষ যতই ক্রিকেট গোগ্রাসে গিলুক তাদের ভাবনার সঙ্গে কখনো নির্বাচকদের চিন্তা এক বিন্দুতে গিয়ে মিলবে না। কিছু টেকনিক্যাল মত পার্থক্য থাকবেই।
এর আগে গাজী আশরাফ একসময় ক্রিকেটে বোর্ডের পরিচালকের দায়িত্বেও ছিলেন। অনেকদিন বোর্ডের বাইরে থাকলেও বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক দেশের ক্রিকেটের সব খবরই রাখেন। বিশেষ করে মাঠের খেলা ও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে সরব থাকেন সবসময়। সংবাদ মাধ্যমেও নিজের মতামত জানান খুব স্পষ্ট করে। তাই হয়তো বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন সোমবার প্রধান নির্বাচক বাছাইয়ের প্রসঙ্গে বলেছেন, “এই মুহুর্তে প্রধান নির্বাচক হিসাবে তিনিই সেরা।”
এই ‘সেরা’ নির্বাচকের অধ্যায় শুরু হচ্ছে আগামী মাস থেকে। তিনি মাঠের সেরাদের বাছাই করে একটি সেরা দল তৈরি করবেন। আপাতভাবে এটা কঠিন না হলেও মাঝে মাঝে চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায় বৈকি। গাজী আশরাফ ব্যাপারটাকে দেখেন এভাবে, “আসলে সবই নির্ভর করে মাঠে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ওপর। কারণ নির্বাচকরা খেলোয়াড়দের বাছাই করেন তাদের ফর্ম, পারফরম্যান্স ও সামর্থ্য দেখে। দল ভাল খেললে কাজটা তৃপ্তিদায়ক হয়। কাজটা তখনই চ্যালেঞ্জিং হয়, যখন দল খারাপ করে কিংবা কোনো ক্রিকেটার প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম করতে পারে না।” তখনই আসলে ভাল দল নির্বাচনের দৃশ্যতঃ কোনো সার্থকতা থাকে না। চাপের মুখে পড়তে হয় নির্বাচকদের এবং খেলোয়াড়দের ব্যর্থতার দায়টাও যেন পরোক্ষভাবে চাপে তাদের ঘাড়ে।