Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

বেশি লভ্যাংশের আশায় ১৩ ব্যাংকে টাকা রেখেছে বিসিবি

faruk
[publishpress_authors_box]

বিসিবির এফডিআরের বিশাল অঙ্কের টাকার খবর সাধারণ ক্রিকেট প্রেমীও জানেন। সেই এফডিআরের মোটা অংক এক ব্যাংক থেকে কয়েকটি ব্যাংকে রেখেছেন বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ। বৃহস্পতিবার একটি দৈনিকে এমন সংবাদ ছাপানোর পর ক্রিকেট মহলে আলোচনা তুঙ্গে। এই খবর ডালপালা মেলে নানা সন্দেহ সংশয় তৈরি করেছে।

বিসিবি প্রধান বিভিন্ন টাকা রাখার কথা অস্বীকার করেননি। ফারুক আহমেদ কী উদ্দেশ্য নিয়ে এটা করেছেন, তা সবিস্তারে বলেছেন সকালসন্ধ্যাকে।

সকাল সন্ধ্যাকে ফারুক আহমেদ বলেছেন, “আজ (বৃহস্পতিবার) যে সংবাদ ছাপানো হয়েছে সেটা পুরো মিথ্যা সংবাদ, বানিয়ে লেখা। ব্যাপারটা হল, আমি ১৩টা ব্যাংকে টাকা দিয়েছি, সবগুলো ২ থেকে ৫ শতাংশ বেশি ইন্টারেস্টে।”

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে টাকা রেখে বিসিবির কোন লাভ হয়নি বলে দাবি করেছেন ‍ফারুক। ব্যাংক এফডিআর থেকে বোর্ডে যেন বেশি পরিমাণ লভ্যাংশ আসে সেজন্যই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

বিসিবি প্রধান পুরো ব্যাপারটা খোলাসা করেছেন এভাবে, “এখন সমস্যা হয়েছে তাদের, যারা লভ্যাংশের টাকাটা আগে মেরে খেতো, ওই সুযোগ তো আর রাখিনি। ওরা টাকা পেতো, এখন পাবে না। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে টাকা যে রাখা হয়েছিল, তারা ১০ বছরে বিসিবিতে আট আনা পয়সাও দেয় নাই। কিন্তু কেউ না কেউ তো টাকা (সুদ) নিতো। ওই টাকা নেওয়া এখন আটকে গেছে।”

তার কথায় স্পষ্ট, বিসিবি’র একাউন্টে লভ্যাংশ যোগ না হলেও ক্রিকেট বোর্ড সংশ্লিষ্ট কারো না কারো পকেটে যেত।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয় “এম” অদ্যাক্ষরের একটি ব্যাংকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ৫২ কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। একই অদ্যাক্ষরের আরেকটি ব্যাংকে বিসিবির আগের ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙ্গে ট্রান্সফার করা হয় ৩৩ কোটি টাকা। পাশাপাশি একই অদ্যাক্ষরের ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট ও বিপিএল অর্থ মিলিয়ে ৬৬ কোটি টাকা ট্রান্সফারের কথাও উল্লেখ করা হয়। 

তবে বিসিবির প্রেসনোটে সবকিছু খোলাসা করা হবে জানিয়ে ফারুক বলেছেন, “বিসিবি থেকে যে প্রেসনোট দিবো সেখানে পুরো বিস্তারিত বলা হবে। কত শতাংশ কোথায় দেওয়া হয়েছে, টাকা কোথেকে  কোথায় গিয়েছে, কোন ব্যাংকে রাখা হয়েছে ইত্যাদি।”

বিসিবি প্রধান জানিয়েছেন, নিজের ভালো কাজগুলো এতদিন কাউকে বলেননি। তবে এবার বলা শুরু করবেন, “১০ কোটি টাকার স্পন্সর নিয়েছি। এসব ভালো জিনিস তো বলি না সবাইকে। কারণ এখানে ভালো কাজ করতে এসেছি। এই যে মাস্টার রোলে (নির্বাহী আদেশে) ১১০ জনের চাকরি বিসিবিতে স্থায়ী করেছি। রিয়েল ইম্প্যাক্টের আগেই সই করা যে চুক্তি ছিল, ওইখান থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার ডলার বোর্ডে রেখেছি। আমি জোর করে বলেছি যে টাকা যদি না দাও তাহলে এই টাকা ডিসকাউন্ট, তোমরা আর পাবে না। এই টাকা তো আমি নিজের পকেটে ঢুকাতে পারতাম।”

গত সপ্তাহে বিসিবির বাইলজ পরিবর্তন করে তাওহিদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি কমানোর বিষয়ে ফারুক আহমেদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে খবর প্রকাশ হয়। বিসিবি প্রধাণ জবাবে জানান সিসিডিএম ও আম্পায়ারস কমিটি থাকতেও তার নাম জড়ানো উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এবার বোর্ডের আরও একটি বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে বিসিবি প্রধাণকে।     

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত