প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর থেকে গত কয়েকদিনে দেশ মূলত চলছে সরকারবিহীন। তাই প্রশাসনের আইন নেই। রাস্তায় নেই ট্রাফিক পুলিশ। এই সময়ে রাস্তার শৃঙ্খলার কাজ করছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার তাদের পাশে দাঁড়াল বিসিবি।
বর্তমানে বিসিবিতে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ পরিচালকরা আসছেন না। বিসিবির সব কার্যক্রমের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। এছাড়া ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস দেখছেন দলগুলোর কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের খাবার বিতরণের উদ্যোগটা তাদেরই।
গত তিন দিন যাবত রাস্তায় গাড়ি চলাচলে বিশৃঙ্খলা রোধ করতে মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের কাজ করছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের পাশে মিরপুর ২ নম্বর সড়ক এবং প্রশিকা মোড়ের সড়কেও তারাই দাঁড়িয়ে।
এই শিক্ষার্থীদের বৃহস্পতিবার আড়াই শ খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেছেন বিসিবি। সেই সঙ্গে খাবার পানি ও কোমলপানীয় ছিল। ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া বিভাগের কর্মচারীরা স্টেডিয়ামের আশপাশে রাস্তায় গাড়ি চলাচলে সাহায্য করা স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন।
শুধু মিরপুরই নয়, শিক্ষার্থীদের তৈরি করা শৃঙ্খলায় ঢাকার সকল রাস্তাতেই দেখা গেছে। কেউ সড়কের সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করছেন। সিগন্যাল না মানলে চালককে বাধা দিচ্ছেন। এতে ট্রাফিক–বিহীন ঢাকার রাস্তায় গাড়ি চলাচলে ভোগান্তি ও যানজট কমেছে।
শুধু তাই নয়, রাস্তা পরিষ্কারের কাজও করছেন ছাত্রছাত্রীরা। দেয়াল চিত্রে তুলে ধরছেন সচেতনতা। স্ব-উদ্যোগে নিয়োজিত এই স্বেচ্ছাসেবকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহযোগীতা করল বিসিবি।