বেল, বেনজিমা, রোনালদোকে বলা হত ‘বিবিসি’। আক্রমণের সেই ধার না থাকলেও বেলিংহাম,এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুসের ত্রিফলাকে বলা হচ্ছে ‘বিএমভি’। এই তিন জন জ্বলে উঠলেন একই রাতে, গোলও করলেন একটি করে। এই ত্রয়ীর গোলে আতালান্তার দাপট থামিয়ে ৩-২ ব্যবধানের জয়ে ঘুরে দাঁড়াল দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ।
চ্যাম্পিয়নস লিগে অপরাজিত আতালান্তা সিরি ‘এ’তেও আছে এক নম্বরে। তবে বিপক্ষের মাঠে টানা দুই হারে অহম জেগে উঠেছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে রেকর্ড ১৫বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের। আতালান্তা আক্রমণের ঢেউ তুললেও কৌশলী ও সাহসী রিয়াল জয় নিয়েই ছেড়েছে মাঠ।
উয়েফা সুপার কাপের পর চ্যাম্পিয়নস লিগেও রিয়ালের কাছে হারতে হলো আতালান্তাকে। এই জয়ে ২৪ নম্বর থেকে রিয়াল উঠে এসেছে ১৮-তে। আর আতালান্তা ৫ থেকে নেমে গেছে ৯-এ।
নিজেদের মাঠে ৫৫.৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে আতালান্তা পোস্টে শট নিয়েছিল ২০টি, এর ৯টি ছিল লক্ষ্যে। সেখানে রিয়ালের ১০ শটের লক্ষ্যে ছিল ছয়টি। রিয়াল এগিয়ে যায় দশম মিনিটেই। ব্রাহিম দিয়াসের পাস বক্সের মুখে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রক্ষণের শেষ বাধা টপকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপ্পে। স্তব্ধ হয়ে যায় গিউইস স্টেডিয়াম। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটা এমবাপ্পের ৫০তম গোল।
চোট পেয়ে ৩৬তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন এমবাপ্পে, যা ছিল রিয়ালের জন্য বড় ধাক্কা। বিরতির আগে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড চার্ল দে কেটেলার। বক্সে জিয়াদ কোলাসিনাচকে ফাউল করেছিলেন অহেলিয়া চুয়ামেনি।
৫৬ থেকে ৫৯-এই তিন মিনিটে দুই গোল করে ৩-১’এ এগিয়ে যায় রিয়াল। ৫৬ মিনিটে আতালান্তার এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বল পেয়েছিলেন চোট কাটিয়ে ফেরা ভিনিসিয়ুস। প্রথম ছোঁয়ায় নিচু শটে বল জালে জড়ান এই ব্রাজিলিয়ান। ৫৯ মিনিটে তারই পাসে ব্যবধান ৩-১ করেন জুড বেলিংহাম। এক গোল আর অ্যাসিস্টে ফেরাটা স্মরণীয় করেছেন ভিনি।
প্রথম চার ম্যাচে জাল অক্ষত রাখা আতালান্তা গত ম্যাচে হজম করেছিল প্রথম গোল। এবার রিয়াল তাদের জালে বল পাঠাল তিনবার।
৬৫ মিনিটে এক গোল ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন আদেমোলা লুকমান। এরপর আক্রমণের ঢেউ তুলেও আর সমতা ফেরাতে পারেনি আতালান্তা। তাদের হতাশা বাড়ে একেবারে শেষ বেলায় মাতেও রেতেগি দারুণ সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিলে।
ম্যাচে রিয়ালের এভাবে ভোগাটা বড় করে দেখছেন না আনচেলোত্তি। তিনি এই জয়ে খুশি। তবে স্মরণ করিয়ে দিলেন ৮ নম্বরে থেকে সরাসরি নকআউট খেলা যে কঠিন সেটাও, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ জয় এটা। আমরা বেশ ভুগেছি তবে লড়াই করেছি। চ্যাম্পিয়নস লিগে আপনাকে ভুগতেই হবে। এই জয়েও আটে থেকে সরাসরি নকআউট খেলা কঠিন। আমাদের দুটি ম্যাচ বাকি, দুটিতেই পয়েন্ট পেতে হবে (জিততে হবে)।’’