যুগটা এখন টি-টোয়েন্টির। ৩০-৪০ বলে সেঞ্চুরি হচ্ছে হরহামেশা। সেখানে অবিশ্বাস্য এক কাণ্ড করেছেন ইয়ান বেস্টউইক। ডার্বিশায়ার ক্রিকেট লিগে (ডিভিশন নাইন ক্লাব ক্রিকেট) পুরো ৪৫ ওভার ব্যাটিং করে ১৩৭ বল খেলে কোনও রানই করেননি তিনি! ৪৮ বছর বয়সী বেস্টউইকের ইনিংসে ভর করে মিকলওভার ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে ড্র করেছে ডার্লি অ্যাবি ক্রিকেট ক্লাব।
এই ড্রতে অবদান আছে বেস্টউইকের ছেলে টমাসেরও। ৭১ বল খেলে ৪ রান করেছেন তিনি! সেটাও হয়েছে ব্যাটের কাণায় লেগে বল বাউন্ডারি সীমানা পার হলে। ২৭২ রান তাড়া করতে নেমে ডার্লি অ্যাবি ক্রিকেট ক্লাব ৪৫ ওভারে করে ৪ উইকেট ২১ রান (ম্যাচটা হয়েছে ২৫ আগস্ট)।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ডার্বিশায়ার লিগে চাইলে জয়ের চেষ্টা না করে ম্যাচ ড্র করার নিয়ম আছে। সেই নিয়মটাই ডার্লি অ্যাবি ক্রিকেট ক্লাব কাজে লাগায় ২৭২ তাড়া করতে নেমে ৮ রানে ৩ উইকেট হারালে।
বাবা ইয়ান বেস্টউইক ও ছেলে টমাস বেস্টউইক এরপর ক্রিজ আঁকড়ে থাকেন। টমাস আউট হওয়ার পর নিকোলাস কাটিং ৩৪ বল খেলে রান করেননি কোনও। এমন ঠুকঠুক ব্যাটিংয়ে মিকলওভারের বোলাররা মেডেন পায় ৩৪টি।
সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি করে অনেকে খ্যাতি পেলেও ইয়ান বেস্টউইক ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিতি পেলেন ১৩৭ বলে ০ করে। ইয়ান বেস্টউইক এই অপ্রতিরোধ্য যাত্রায় ভাগ্যের স্পর্শও পেয়েছেন। বোল্ড হলেও সেটি ছিল নো বল!
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর তোলপাড়ই চলছে বেস্টউইককে নিয়ে। তিনি বললেন, ‘‘পুরো পৃথিবীতে আমার নাম ছড়িয়ে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, কাতারসহ অনেক দেশ থেকে বন্ধু হওয়ার অনুরোধ পাচ্ছি (সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে)।’’
নিজের ইনিংসে ম্যাচটা ড্র করতে পরায় খুশি ইয়ান বেস্টউইক,‘‘ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাস হয়েছে ড্রেসিংরুমে। মনে হচ্ছিল আমরা কোনও শিরোপা জিতেছি। আসলে আমাদের দলটা অনভিজ্ঞ। তাই চাইছিলাম যে কোনওভাবে ম্যাচটা ড্র করতে।’’