পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বেক্সিমকো) শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে ৪ ব্যক্তি ও ৫ প্রতিষ্ঠানকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
পুঁজিবাজারের আলোচিত এই শিল্পগোষ্ঠী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মোসফেকুর রহমান নামের এক বিনিয়োগকারীকে সর্বোচ্চ ১২৫ কোটি টাকা, ক্রিসেন্ট লিমিটেডকে ৭৩ কোটি টাকা, মমতাজুর রহমানকে ৫৮ কোটি টাকা এবং আব্দুর রউফকে ৩১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯২৪তম কমিশন সভায় জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র ফারহানা ফারুকী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেক্সিমকোর শেয়ার লেনদেনে বিএসইসির প্রচলিত আইন ভঙ্গ করায় ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মারজানা রহমানকে ৩০ কোটি, ট্রেড নেক্সট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে ৪ কোটি ১ লাখ, মোসফেকুর রহমানকে ১২৫ কোটি, মমতাজুর রহমানকে ৫৮ কোটি, জুপিটার বিজনেস লিমিটেডকে ২২ কোটি ৫০ লাখ, এপোলো ট্রেডিং লিমিটেডকে ১৫ কোটি ১ লাখ, এ আর টি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে ৭০ কোটি, আব্দুর রউফকে ৩১ কোটি ও ক্রিসেন্ট লিমিটেডকে ৭৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
২০২১ সালের ২৮ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩ মার্চ পর্যন্ত বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজির অভিযোগে তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর ১৩ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। পরে একাধিক হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এখন তিনি কারাগারে আছেন। তার ব্যাংক হিসাব জব্দ ও বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়।
পুঁজিবাজারে বেক্সিমকো গ্রুপের বেক্সিমকোসহ চারটি কোম্পানি ও বন্ড তালিকাভুক্ত রয়েছে।