ফুটবলে আবার নির্বাচনী তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচন হবে আগামী ২৬ অক্টোবর। এর মধ্যে ফিফার তরফ থেকে যদি নতুন কোনও নিষেধাজ্ঞা আসে বা কাউকে জরিমানা করে? প্রশ্নটি বোধহয় পছন্দ হয়নি কাজী সালাউদ্দিনের। বুধবার সভা শেষে বাফুফে সভাপতি ক্ষেপে গিয়ে বলেন, “আমি তো ফিফার পেটের মধ্যে বসে নেই যে এ প্রশ্নের উত্তর দেবো।”
সাধারণত আগে থেকে কিছুই জানার অভ্যাস তার নেই। যখন ফিফার তদন্ত চলছিল, তখনও তিনি কিছু জানতেন না। অথচ তিনি বাফুফের সভাপতি। তার সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ফিফায় গিয়ে তদন্তের শুনানি করে আসে অথচ তিনি জানেন না ! তার ফেডারেশনে আর্থিক জালিয়াতি, অনিয়ম, দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে কিন্তু সভাপতি কিছুই জানেন না ! ১৬ বছর ধরে এমন ‘অজানা’ সভাপতির কাছে আছে দেশের ফুটবল।
দুই বছর ধরে বাংলাদেশ ফুটবলে ফিফার নিষেধাজ্ঞা নিত্য ঘটনা হয়ে গেছে। আর্থিক জালিয়াতি, কেনাকাটায় দুর্নীতির কারণে ২০২৩ সালে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। ২০২৪ সালের আবার নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। তাতে সোহাগের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বেড়ে হয় ৩ বছর। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয় বাফুফের ম্যানেজার মিজানুর রহমান ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেনকে, যদিও তার আগে ছাটাই করেছিল তাদের। তবে নিষেধাজ্ঞা থেকে বেঁচে যাওয়া বাফুফের সিনিয়র সহ সভাপতি সালাম মুর্শেদীকে জরিমানা করে ফিফা।
ফিফা এসব দণ্ড দিয়েছিল চলতি মাসের ৩০ মে। এরপরও ১৬ বছর সভাপতি পদ আকঁড়ে থাকা সালাউদ্দিন বলছেন, “এসব (ফিফা নিষেধাজ্ঞা) তো আমরা নিয়মিত দেখিনি। একবারই তো দেখেছি।” ২ বছরের দুটো দণ্ডের প্রসঙ্গ তোলার পর তিনি বলেন, “ওটা (শাস্তি) এক জিনিস। ফিফা ব্রেক ইন করে দিয়েছিল।”
তাহলে কি বলা যায়, ফিফার তদন্ত শেষ হয়েছে? নতুন করে কোনও নিষেধাজ্ঞা আর আসবে না? সালাউদ্দিনের জবাব, “সেটা ফিফা বলতে পারবে। আপনি ফিফাকে জিজ্ঞাসা করুন উত্তর জানতে।”