অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার ১৩তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোর্শেদ আলম তাকে জামিনের এ আদেশ দেন।
মামলায় এদিন মোল্লা জালালের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মো. আব্দুল আউয়াল। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আদেশ দেয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহেল মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জামিনের পর সন্ধ্যায় মোল্লা জালাল কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী মো. আব্দুল আউয়াল।
অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে গত ১ নভেম্বর সাংবাদিক মোল্লা জালাল ও তার সহযোগী সলেমান ওরফে সেলিমের বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন এক নারী। এরপর ৪ নভেম্বর সেগুনবাগিচা থেকে মোল্লা জালালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
মামলায় বলা হয়, মোল্লা জালাল সাংবাদিকতা পরিচয়ে ১৭ বছর ধরে বাদীকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। বাদী একজন সংগীতশিল্পী। ২০০৭ সালে ভালুকা প্রেসক্লাবে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনের সুবাধে মোল্লা জালালের সঙ্গে তার পরিচয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিল্পকলা-মৎস্য ভবন গেটের সামনে পিঠার দোকানের সামনে মোল্লা জালালের লোক রানার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। তখন স্থানীয়রা মীমাংসা করে দেয়। সেখানে কাজ শেষে শিল্পকলা হয়ে হেঁটে বাসায় রওনা করেন।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাইকোর্ট গেটের কাছে সেলিম ও অজ্ঞাতপরিচয় একজন লোক তার চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত বাসায় নিয়া যায়। সেখানে মোল্লা জালাল, সেলিম এবং অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি চুলের মুঠি ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করে তাকে জখম করে। অন্য আসামিদের সহায়তায় মোল্লা জালাল শ্লীলতাহানি করেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বাদী চিৎকার করলে আসামি তাকে ছেড়ে দেন এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদানসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।
পরদিন ভোর ৫টার দিকে সেলিম ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি গাড়িতে করে তাকে রমনা পার্কের ওভার ব্রিজের কাছে রাস্তায় রেখে চলে যায়। তিনি বাসায় ফিরে ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর কাছে ঘটনার বিস্তারিত বলেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় এসে এজাহার করায় বিলম্ব হয় বলে মামলায় উল্লেখ করেন ওই নারী।