সীমান্তে পিঠ না দেখাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের আহ্বানের একদিনের মাথায় ভারতীয় চোরাকারবারিদের দিকে গুলি ছুড়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বুধবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সীমান্তরক্ষী এই বাহিনী।
মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) সহকারী পরিচালক (অনারারি ক্যাপ্টেন) সাইফুল ইসলাম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মাটিলায় ৬০/৯৮ সীমান্ত পিলারের কাছে একদল ভারতীয় চোরাকারবারি বস্তাভর্তি মালামাল নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে ঢুকে পড়ে।
ভারতীয় চোরাকারবারিরা সামনের দিকে এগুতে থাকলে বিজিবির টহল দল তাদের ধাওয়া দেয়। সেসময় বিজিবির টহল দলের সদস্যদের ধারাল অস্ত্র দেখায় চোরাকারবারিরা।
বিজিবি সদস্যরা একপর্যায়ে প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে ৫-৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতেও তারা নিবৃত্ত না হলে আরও ৪ রাউন্ড গুলি করে বিজিবি। তখন চোরাকারবারিরা সীমান্তে ভারতের অংশের কলাবাগানে পালিয়ে যায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে চোরাকারবারিদের ফেলে যাওয়া ৯৪ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক আন্দোলনে সহিংসতায় বিজিবির যে সদস্যরা আহত হয়েছেন, তাদের দেখতে মঙ্গলবার পিলখানায় বিজিবি হাসপাতালে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাখাওয়াত।
হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেছিলেন, “বিজিবির মতো একটা ফোর্সকে পিঠ দেখাতে বলেছে সীমান্তে। আমি বলেছি যে, পিঠ দেখাবেন না। যথেষ্ট হয়েছে।
“আমাদের সীমানার মধ্যে ঢুকে মানুষ মারে। আর আমরা বলি, পতাকা বৈঠক করেছে, সব ঠিক হয়ে গেছে। এখন সেসব দিন শেষ হয়ে গেছে।”
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ১৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।
আর জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে কমপক্ষে ৩০ বাংলাদেশি প্রাণ হারায়।