Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

বাহির থেকে কারখানায় গুলি, দাবি বিজিএমইএর

ছবি : বিবিসি বাংলা
ছবি : বিবিসি বাংলা
[publishpress_authors_box]

ঢাকার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের জিরাবো এলাকায় বিক্ষোভরত শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিজিএমইএ বলছে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার জন্য বহিরাগতরা বাইরে থেকে কারখানার দিকে গুলি করে। তাতে উত্তেজনা ছড়ায় শ্রমিকদের মধ্যে।

বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সকালে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবো এলাকার মন্ডল গ্রুপের কারখানায় শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলোচনা চলছিল।

এ সময় কিছু বহিরাগত ব্যক্তি মন্ডল গ্রুপের ২ শ্রমিকের মৃত্যুর গুজব তুলে কারখানার বাইরে অবস্থান নেয়। পরে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরাও সেখানে অবস্থান নেয়। বহিরাগতরা কারখানা লক্ষ্য করে গুলিও করে। এতে কারখানা ভবনের কাঁচ ভেঙে যায় এবং আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিজিএমইএ বলছে, এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কারখানার নিচে নেমে আসেন। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও শ্রমিকরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। বহিরাগতরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করে।

উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।

সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য ও শ্রমিক আহত হলে শ্রমিকদের স্থানীয় পিএমকে হাসপাতাল ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এনাম মেডিকেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শ্রমিক কাউসার হোসেন খাঁনকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এরই মধ্যে নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী তার সব পাওনা দ্রুত পরিশোধ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিজিএমইএ।

সোমবার বেলা ১২টার পর টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের বিক্ষোভ হয়। এতে প্রাণ হারান একজন শ্রমিক। আহত হন অন্তত ৩০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজন হন গুলিবিদ্ধ।

সংঘর্ষের পর শ্রমিকরা জানান, মন্ডল গ্রুপে মালিকপক্ষ, শ্রমিক প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে মিটিং চলছিল। সমঝোতা না হওয়ায় শ্রমিকরা কারখানার বাইরে অবস্থান নেন। পরে অন্য কারখানার শ্রমিক সেখানে জড়ো হতে থাকেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শ্রমিকরা মুখোমুখি অবস্থান নিলে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত