পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর ২০২৪-২৬ মেয়াদে নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ঢাকা অঞ্চলে ২০৩২ ভোটের মধ্যে ১৮৩৯টি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৪৬৪ ভোটের মধ্যে ৩৮৭টি গ্রহণ হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার ভোটের হার বেশি।
ভোট গ্রহণ শেষে শনিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য দেন নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।
ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এই সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য শমী কায়সার, সম্মিলিত পরিষদের সদস্য সচিব সালাম মুর্শেদী এবং ফোরাম প্যানেলের সদস্য সচিব আসিফ ইব্রাহিম।
এক ঘণ্টা বিরতি নিয়ে ভোট গণনা শুরু হবে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম। গণনা শেষে ফলাফল আসতে রাত হয়ে যাবে।
এবারের নির্বাচনে ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে লড়ছেন ৭০ জন প্রার্থী।
সকালে ভোট শুরুর আগে ভোটারদের মারধর করার অভিযোগ করেন ফোরাম প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মো. খায়ের মিয়া।
তিনি বলেন, “সকাল পৌনে ১০টার দিকে আমাদের ভোটারদের এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। মেইনগেটের বাইরে তাদের মারধর করে পার্শ্ববর্তী শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত সরিয়ে দেওয়া হয়।”
তবে পরে ফোরাম প্যানেলের নেতা ফয়সাল সামাদ বলেন, “সকালের দিকে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। সেটা নিয়ে এখন আর কথা বলতে চাই না। এখন ভোটের পরিবেশ ভালো রয়েছে।”
তবে ভোট গণনায় প্রভাব বিস্তারে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার জাহাঙ্গীর বলেন, “ভোটের পরিবেশ বেশ ভালো ছিল। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।”
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “বড় কোনও অভিযোগ নেই কারও। ছোট কিছু অভিযোগ আছে। এছাড়া নির্বাচন ভালোই হয়েছে।”
ভোট বিক্রির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এত বড় গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির মালিক একেকজন, তারা কেন ভোট বেচতে যাবে “
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসানও ভোট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।