দু বছর আগেও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বে নেপালের কাছে ৪-০ গোলে এবং সেমিফাইনালে বাংলাদেশের কাছে ৮-০ গোলে হেরেছিল ভুটান। সেই ভুটান এখন শক্তিশালী দলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করছে।
সাফে পাঁচ বারের রানার্স আপ নেপালকে এবার তারা রুখে দিয়েছে। স্বাগতিকদের কোনও প্রকার সুযোগও দেয়নি তারা। প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে বেশ চাপে ফেলে দেয় নেপালকে।
শ্রীলঙ্কার জালে ৪ গোলের পর আসরের সর্বোচ্চ ১৩ গোলে তারা হারিয়েছে মালদ্বীপকে। কতটা উন্নতি করেছে ভুটানের মেয়েরা। এমন উত্থানের রহস্য কি? শুক্রবার আনফা কমপ্লেক্সে অনুশীলনের জন্য মাঠে নামার আগে সেই রহস্যের গল্পটা জানিয়ে দিলেন অধিনায়ক পেমা চোদেন, “গত কয়েক বছর ধরে মেয়েদের ফুটবলে আমাদের ফুটবল ফেডারেশনের বিনিয়োগের প্রতিফলন এটি। আমরা ফল পাচ্ছি এবং এই প্রথম আমরা গ্রুপ পর্ব পেরিয়েছি কোনও ম্যাচ না হেরে।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের বৃত্ত ভাঙতে রোববার নেপালের কাঠমান্ডু দশরথ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ভুটান। অপরাজিত থেকে এই প্রথম সাফের গ্রুপ পর্ব পার হতে পারা দলকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বলে মনে করেন পেমা।
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে দুই দলের সবশেষ লড়াইয়ের স্মৃতি ভুটানের জন্য ভীষণ হতাশার, ৮-০ গোলের হার। গত জুলাইয়ে দুই প্রীতি ম্যাচেও সাবিনা-সাগরিকাদের বিপক্ষে হেরেছিল তারা। এমনকি সাফে কখনো বাংলাদেশকে হারাতে পারেননি ভুটান। পুরোনো সব হতাশা মুছে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চান দলটি পেমা, “আমরা জুলাইয়ের উইন্ডোতে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছি। ওদের কাছ থেকে ওই দুই ম্যাচে অনেক কিছু শিখেছি। আমি মনেকরি, আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে ভুটানে যে দুটি ম্যাচ খেলেছিলাম, ওই দুই ম্যাচে নিজেদের সমর্থকদের গ্যালারিতে পেয়েছিলাম, যেটা আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতাও তাদের বিপক্ষে আমাদের সাহায্য করেছিল।’