Beta
শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫
Beta
শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫

১২ দিনেই এল বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স

ডলার
[publishpress_authors_box]

দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে এ মুহূর্তে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের ধারাবাহিকতায় অক্টোবরেও রেমিটেন্স প্রবাহে দারুণ গতি দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার রেমিটেন্স প্রবাহের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ৯৮ কোটি ৬৬ লাখ ৩০ হাজার (প্রায় ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।

বর্তমান বিনিময় হার ডলার প্রতি ১২০ টাকা হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ডলার; টাকার অঙ্কে যা ৯৮৭ কোটি টাকা।

অক্টোবরের বাকি ১৯ দিনে রেমিটেন্সের এই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে মাস শেষে এই অঙ্ক ২৫৫ কোটি বা ২ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকবে। সেক্ষেত্রে একক মাসের হিসাবে তা হবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স।

এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি বা ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স এসেছিল ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ বা ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আগস্টে এসেছিল ২২২ কোটি ৪১ লাখ বা ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ বা ১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতা, মৃত্যু, ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ, মামলা, গ্রেপ্তার ও প্রবাসীদের উৎকণ্ঠার প্রেক্ষাপটে জুলাই মাসে রেমিটেন্স কমেছিল বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ওই সময়  আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত-সহিংসতার জন্য তৎকালীন সরকারকে দায়ী করে দেশে রেমিটেন্স না পাঠাতে প্রবাসীদের প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে আহ্বানও জানিয়েছিলেন।

সব মিলিয়ে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ বা ৬ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। যা ছিল আগের অর্থবছরের (২০২২-২৩) চেয়ে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি।

রিজার্ভ বাড়ছে

রেমিটেন্সের উপর ভর করে অর্থনীতির সবচেয়ে উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও বাড়ছে।

গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংক যে ‘উইকলি সিলেক্টেড ইকোনমিক ইন্ডিকেটরস’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার।

এক সপ্তাহ আগে ২ অক্টোবর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।

এক মাস আগে ১১ সেপ্টম্বর বিপিএম-৬ হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।

এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এক মাসের ব্যবধানে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ বেড়েছে ৪০ কোটি ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে বেড়েছে ৪৭ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ‘উইকলি সিলেক্টেড ইকোনমিক ইন্ডিকেটরস’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে রিজার্ভের পাশপাশি অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকের হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়।

গত ৯ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট মাসের ১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে যায়। আকুর দেনা শোধের আগে ৫ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।

 এক বছর আগে গত বছরের ৮ অক্টোর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৬ দমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত