Beta
মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

লিজের পথে চলার আগে বিমান ভাববে কি

বিমান
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ।
[publishpress_authors_box]

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে এখন রয়েছে ২১টি উড়োজাহাজ। ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রয়োজন আরও ৩২টি। এজন্য বোয়িং বা এয়ারবাস থেকে নতুন উড়োজাহাজ কেনা হতে পারে। আবার লিজ বা ভাড়ায়ও আনা হতে পারে।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা দুটি পথই দেখিয়েছেন।

কেনার কাজটি সময়সাপেক্ষ বলে বহরের পরিসর দ্রুত বাড়াতে লিজের পথেই হাঁটতে পারে বিমান।

তবে লিজের অতীত অভিজ্ঞতা তিক্ত ছিল বিমানের জন্য। হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে, বিপুল অঙ্কের ক্ষতির ধাক্কাও নিতে হয়েছে। তা নিয়ে মামলায় আসামিও হয়েছেন বিমানের ক’জন শীর্ষ কর্মকর্তাও।

এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উড়োজাহাজ কেনা বা লিজ, যাই হোক না কেন, সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভেবে-চিন্তে। কারণ হিসাবে তারা বলছেন, লিজে যেমন টাকা গচ্চা গেছে, আবার নতুন উড়োজাহাজ কিনে তার পরিপূর্ণ ব্যবহার না হওয়ার নজিরও আছে।

ফিরে দেখা

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ই ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের যোধপুরের মহারাজা একটি ডাকোটা উড়োজাহাজ উপহার দিয়েছিলেন সদ্যগঠিত বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে। পুরনো জীর্ণ সেই ডাকোটা নিয়েই ৫৩ বছর আগে ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলইন্সের (তৎকালীন বাংলাদেশ বিমান) ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে প্রথম যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু হয়।

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে ভারতের কাছ থেকে দুটি এফ-২৭ উড়োজাহাজ পাওয়া যায়। এরপর অস্ট্রেলিয়া সরকার বাংলাদেশকে দুটি এফ-২৭ অনুদান দেয়। ১৯৭৩ সালে আরও দুটি এফ-২৭ বিমানের জন্য কেনা হয়। ওই বছর বোয়িং ৭০৭ ভাড়া করে বিমান ঢাকা-বাহরাইন-লন্ডন রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে।

বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, বৈমানিক ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বলেন, পুরোনো, কম রুটে চলেও ১৯৭৪ সালে বিমান ৩ কোটি টাকা লাভ করে। ওই বছর বিমানের জন্য ৫ কোটি টাকায় একটি সেকেন্ড হ্যান্ড ৭০৭ বোয়িং কেনা হয়। আর এভাবেই ডানা মেলতে থাকে বিমান।

আশির দশকে বাড়তে থাকে বিমানের পরিসর। ১৯৮১ সালে বিমানে আসে নতুন ফকার ২৮-৪০০০ উড়োজাহাজ। ১৯৮৩ সালে লিজে আনা হয় তিনটি ডিসি ১০ ও ৩০। ১৯৮৯ সালে কেনা হয় আরও একটি নতুন ডিসি ১০। এর পর ১৯৯০ সালে এফ ২৭ আনা হয়।

১৯৯০ সালে বিমানের বহরে প্রথম এয়ারবাস-৩১০ যুক্ত হয় । সে সময় সম্পূর্ণ নতুন অবস্থায় দুটি এয়ারবাস-৩১০ কেনা হয়। এর মধ্যে একটি উড়োজাহাজ দুবাইয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে অচল হয়ে যায়। ২০০৩ সালে ১২ বছরের পুরনো আরও একটি এয়ারবাস-৩১০ উড়োজাহাজ ৫ বছরের চুক্তিতে লিজ নেওয়া হয়। পরে সেটিও কিনে নেয় বিমান। এই উড়োজাহাজটি উড্ডয়ন অনুপযোগী হয়ে প্রায় ২ মাস সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে পড়েছিল।

এছাড়া ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে একটি এয়ারবাস-৩১০ উড়োজাহাজের বডিতে ফাটল ধরে। পরে এসব এয়ারবাস পুরোপুরি বহর থেকে ছেঁটে ফেলে বিমান।

এর আগে দুটি এফ -২৮ উড়োজাহাজ লিজে আনায় দীর্ঘসূত্রতা, অব্যবস্থাপনা ও অবহেলায় বিমানের ৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল উল্লেখ করে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনাও হয়েছিল।

মান বা বয়স যাই থাকুক, এসব উড়োজাহাজ দিয়েই একসময় বিশ্বের তিনটি মহাদেশের ২৯টি শহরে আকাশপথে ফ্লাইট পরিচালনা করত বিমান।

বিমানের বহরে এখন বোয়িংয়ের উড়োজাহাজই বেশি।

বোয়িংয়ের ছোঁয়া

২০০৭ সাল থেকে বিমান বহরে নতুন উড়োজাহাজ কেনার উদ্যোগ নেয়। এ লক্ষ্যে ২০০৮ সালে বিমান যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি করে। এর মধ্যে ৪টি ৭৭৭-৩০০ ইআর, ৪টি ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ এবং ২টি ৭৩৭-৮০০। এগুলো ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সালে মধ্যে বিমান বহরে যুক্ত হয়।

পরে সোনারতরী ও অচিন পাখি নামে আরও ২টি ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজ বোয়িংয়ের কাছ থেকে কিনে নেয় বিমান। বিমানের আরও রয়েছে কানাডার তৈরি ৭৪ আসনের ৫টি ড্যাশ-৮ এবং ১৬২ আসনের ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ।

সবমিলিয়ে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের বহরে বর্তমানে রয়েছে ২১টি উড়োজাহাজ। এর বেশিরভাগই নতুন। ২১টির মধ্যে ১৯টি উড়োজাহাজের মালিক বিমান নিজেই। মাত্র দুটি লিজে আনা। এসব উড়োজাহাজ দিয়ে বিশ্বের তিনটি মহাদেশের ২৩টি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। যাত্রী বহন করছে বছরে ৩২ লাখ।

ইজিপ্ট এয়ারের বোয়িং ছিল শ্বেতহস্তী

পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে ২০১৪ সালে দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ লিজ নিয়েছিল বিমান।

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে আবারও ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়।

সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছিল। তবে কোনও সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। সে কারণে ইজিপ্ট এয়ার এবং মেরামতকারী কোম্পানি- উভয়কেই অর্থ দিতে হয়েছে বিমানকে। এতসব প্রক্রিয়ায় ইজিপ্ট এয়ার ও মেরামতকারী কোম্পানিকে পাঁচ বছরে বাংলাদেশ বিমানের দিতে হয় ১ হাজার ১৬১ কোটি টাকা।

এই লিজ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে বিমানের ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১৬ মে বিমানের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপপরিচালক আনোয়ারুল হক।

আসামিরা হলেন- বিমানের সাবেক পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন্স) ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ, সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল আলম সিদ্দিক, সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফ ও দেবেশ চৌধুরী, সাবেক ইন্সপেক্টর অব এয়ারক্রাফট গোলাম সারওয়ার, সাবেক এয়ারক্রাফট মেকানিক মো. সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার (স্ট্রাকচার) শরীফ রুহুল কুদ্দুস, সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, ইঞ্জিনিয়ার অফিসার (অব.) মো. জাহিদ হোসেন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন জন স্টিল, সহকারী পরিচালক (এওসি-এয়ারওয়ার্দিনেস) মোহাম্মদ সফিউল আজম, সহকারী পরিচালক (অ্যারোস্পেস/এভিয়েনিক্স) দেওয়ান রাশেদ উদ্দিন, প্রকৌশলী কর্মকর্তা হীরালাল চক্রবর্তী, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার অশোক কুমার সর্দার, প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান ও সাবেক সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল কাদির।

অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেরা লাভবান হতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে উড়োজাহাজ দুটি ভাড়া করেন। এতে সব মিলিয়ে বিমানের ১ হাজার ১৬১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।

বলাকা ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা


ভাবনায় কেনার পাশাপাশি লিজ

অর্ধশতবর্ষী বিমানকে এখন আর জীর্ণশীর্ণ উড়োজাহাজের ওপর ভর করে উড়াল দিতে হয় না। তবে যাত্রী চাহিদা ও রুট সম্প্রসারণের পরিকল্পনা হিসেবে আগামী ১০ বছরে নিজের বহরে মোট ৪৭টি উড়োজাহাজ থাকা প্রয়োজন মনে করছে বিমান কর্তৃপক্ষ।

এই চাহিদা মেটাতে ইউরোপীয় বহুজাতিক উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে নতুন উড়োজাহাজ কেনার চিন্তা-ভাবনা চলছে। আবার লিজের মাধ্যমে উড়োজাহাজ সংগ্রহ করা হবে।

গত ৩০ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে বিমান এমডি জাহিদুল বলেন, “আমরা দেখছি, ২০৩৫ সালের মধ্যে রুট সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিমানের মোট ৪৭টি উড়োজাহাজের প্রয়োজন। বর্তমানে বিমান বহরের ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ৬টি ফেজ আউট (বাণিজ্যিক আয়ুষ্কাল পূর্ণ) হবে। সেজন্য আরও ৩২টি উড়োজাহাজ পারচেজ অথবা লিজের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।”

কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এয়ারবাসের সঙ্গে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। বোয়িংও প্রস্তাব দিয়েছে। বোয়িংয়ের প্রস্তাব রিভিউ করব। আমাদের দুটিরই প্রয়োজন আছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এয়ারবাস বা বোয়িংয়ের মতো নামি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে উড়োজাহাজ সরবরাহ পাওয়া বেশ সময়সাপেক্ষ। কাতার, এমিরেটসের মতো যারা বড় ক্রেতা, সেসব বিমান সংস্থাকেই প্রাধান্য দেয় তারা। সেই কারণে দ্রুত চাহিদা মেটাতে চাইলে লিজ ছাড়া বিকল্প নেই।

লিজের যত ঝক্কি

সাধারণত একটি নতুন উড়োজাহাজ ২০ বছর ব্যবহারের উপযোগী থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোনও উড়োজাহাজের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। তখন এর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বেড়ে যায়। জ্বালানি তেলের চাহিদাও বাড়তে থাকে।

তাই বড় বড় বিমান সংস্থা মেয়াদ ফুরানোর বহু আগে পুরোনো উড়োজাহাজ পরিবর্তন করে ফেলে। নতুন উড়োজাহাজে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কম।

লিজ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর শর্তগুলোতে ফাঁক-ফোকর থাকে। এগুলো ধরতে না পারলে আর্থিক ক্ষতিতে পড়তে হয়।

বহুল আলোচিত ইজিপ্ট এয়ারের বোয়িং দুটি ফেরত দেওয়ার সময় এমন ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল বিমানকে। ২০১৯ সালে জুলাই ও অক্টোবর মাসে ইজিপ্ট এয়ারকে লিজে আনা দুটি বোয়িং বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

একটি উড়োজাহাজ ইজিপ্ট এয়ারকে ফিরিয়ে দেওয়ায় যুক্ত ছিলেন ফজল মাহমুদ। দীর্ঘ ৩৬ বছর দায়িত্ব পালনকারী এই বৈমানিক সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বোয়িংটি বুঝিয়ে দেওয়ার সময় নানান অজুহাত খুঁজছিল ইজিপ্ট এয়ার। তারা আগে থেকেই টেকনিক্যাল ও লিগ্যাল অ্যাডভাইজার নিয়োগ করে রেখেছিল। ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যাচাই করে উড়োজাহাজের সিট বেল্ট, কভারও পরিবর্তন করিয়ে নেয়।”

অভিযোগ রয়েছে, লিজের অনিয়মের ক্ষেত্রে প্রায়ই সংশ্লিষ্ট বিমানসংস্থার কর্মকর্তারা জড়িত থাকেন। তারা কখনও সজ্ঞানে জড়িত হয়ে যান, কখনোবা আইনগুলো না বুঝে-না জেনে বিপদে পড়েন।

নিজে লিজ না নেওয়ার পক্ষপাতি ফজল মাহমুদ বলেন, “কেনা বা লিজ, যাই করা হোক না কেন, কমিটিতে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট থাকা প্রয়োজন। আবার লিগ্যাল অ্যাডভাইজারকে কমিটিতে যুক্ত করা দরকার।”

বিমানের সাবেক কয়েক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, বিমান তার বহরের নতুন উড়োজাহাজগুলোরই সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। ৪১৯ আসনের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআরের মতো সুপরিসর উড়োজাহাজ দিয়ে ২০ মিনিট দূরত্বে ঢাকা-সিলেট রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মতো ‘বিলাসিতা’ দেখিয়েছে। এটি এক ধরনের উড়োজাহাজের অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।

বিমানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মোমেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বিমান তার ইতিহাসে এয়ারক্রাফটের (উড়োজাহাজ) দিক নিয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। ফ্লাইট অপারেটে এসব নতুন এয়ারক্রাফট কতটুকু ব্যবহার করতে পেরেছে, সেটি বিবেচ্য বিষয়।

“তবে লিজ নেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক সক্ষমতা, বোয়িং না এয়ারবাস-কোনটি নেওয়া হবে, এয়ারক্রাফটের বয়স, কোন্ রুটে চলানো হবে; এসব বিষয় বিবেচনায় আনা প্রয়োজন।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত