দেশের পর্যটন খাতে তুরস্ককে আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগ পরিবেশের নিশ্চয়তা প্রদান করে বাংলাদেশ। এখানে শ্রমমূল্য অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট যৌক্তিক। আমাদের অফুরন্ত সম্ভাবনার একটি অভ্যন্তরীণ বড় বাজার রয়েছে।”
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিমানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ও তুরস্কের বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক প্রাচীন। অন্যান্য শিল্পের মতো এভিয়েশন শিল্পেও দুই দেশের অংশীদারিত্ব রয়েছে। তবে দুই দেশের এই সম্পর্ককে জনগণের সম্পর্কে পরিণত করতে পারে পর্যটন শিল্প। দুই দেশের যৌথভাবে এই শিল্পে অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে।”
পর্যটন শিল্প ব্যবস্থাপনায় তুরস্কের অভিজ্ঞতা অনেক দিনের। দেশের পর্যটন শিল্পে কর্মরতদের জন্য তুরস্কের প্রশিক্ষণের প্রত্যাশা জানান তিনি। এছাড়া প্রতি বছর তুরস্ক সরকার যে বৃত্তি দেয় সেখানে পর্যটনকে বিশেষভাবে বিবেচনা করার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।
এসময় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, “পর্যটন শিল্প ব্যবস্থাপনায় তুরস্কের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করতে আগ্রহী। পর্যটন শিল্পে কর্মরতদের যেন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় সেই বিষয়ে তুরস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলবো। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে পর্যটনকে যেন আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয় সেই বিষয়টি আমি তুরস্কের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করব।”