Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

বিএনপির কমিটিতে হঠাৎ এত পরিবর্তনের নেপথ্যে কী

মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুন অর রশিদ ও আসলাম চৌধুরীকে যুগ্ম মহাসচিবের পদ থেকে নেওয়া হয়েছে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে। রুমিন ফারহানার স্থান হয়নি বিদেশ বিষয়ক কমিটিতে।
মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুন অর রশিদ ও আসলাম চৌধুরীকে যুগ্ম মহাসচিবের পদ থেকে নেওয়া হয়েছে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে। রুমিন ফারহানার স্থান হয়নি বিদেশ বিষয়ক কমিটিতে।
[publishpress_authors_box]

কোরবানির ঈদের আগে হঠাৎ করেই বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে বড় ধরনের রদবদল হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন ৪৫ নেতা। আরও পরিবর্তন আসছে বলেও খবর পাওয়া গেছে দলটির নেতাদের কাছ থেকে। তারা বলেছেন, তিন ধাপে সবমিলিয়ে প্রায় ২০০ পদে আসতে পারে পরিবর্তন।

কাউন্সিল ছাড়াই এই ধরনের পরিবর্তন নিয়ে বিএনপির পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। বলা হচ্ছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায়ই এই রদবদল। তবে কী কারণে এই রদবদল, সেই প্রশ্নের উত্তর মেলাতে চাইছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে ৫০২ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া গঠন করা হয় চেয়ারপারসনের একটি উপদেষ্টা পরিষদ, যার সর্বশেষ সদস্য সংখ্যা ৮১।

ওই বছরের ৬ আগস্ট জাতীয় স্থায়ী কমিটি, নির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদ মিলিয়ে ৫৯২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকে মারা গেছেন। পরবর্তী সময়ে উপদেষ্টা ও নির্বাহী কমিটিতে আরও কিছু নেতাকে পদায়ন করা হয়।

আট বছরেও নতুন কাউন্সিল না হওয়ার মধ্যে হঠাৎ পরিবর্তন নিয়ে বিএনপির কর্মীদের মধ্যেও নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

অবমূল্যায়ন

গত ১৪ মে পাঠানো রদবদলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পর্যালোচনা করে দেখা যোচ্ছে, যুগ্ম মহাসচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা পাঁচজনকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়া হয়েছে।

তারা হলেন মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুন অর রশিদ ও আসলাম চৌধুরী।

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়া হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেবী নাজনীন, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন চৌধুরী ফাহিন এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. শরীফ উদ্দীনকে।

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদটি দলের ভাইস চেয়ারম্যান পদমর্যাদার হলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, পদটি অনেকটা আলংকারিক। কর্মীদের কাছেও পদটি তুলনামূলক গুরুত্বহীন হিসাবে বিবেচিত। তাদের মতে, খোলা চোখে পদোন্নতি মনে হলেও কার্যত দলে তাদের গুরুত্ব কমেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “যে বিবেচনায় এই রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমরা শুনছি, সেই অর্থে দলের শীর্ষ নেতাদের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত হাইকমান্ডের? কারা নেতৃত্ব ফেলে পালিয়ে গেল, সেই খবরও সবাই জানে। তাদেরও বিচার হওয়া উচিৎ।”

অন্যদিকে জালাল উদ্দিন মজুমদার (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিভাগ), সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, রংপুর বিভাগ), সায়েদুল হক সাঈদ (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, কুমিল্লা বিভাগ), চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল ফারুক (সহ-কৃষিবিষয়ক সম্পাদক) এবং এস এম গালিবকে (সহ-তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক) বর্তমান পদ হতে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে আনাকেও অবমূল্যায়ন বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীদের একাংশ।

উপজেলা
ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়।

অতিমূল্যায়ন

দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে সহ-তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন চৌধুরী ফাহিনের অন্তর্ভুক্তিকে অতিমূল্যায়নহিসাবে দেখছেন অনেকে। এছাড়া এস এম সাইফ আলীকে সহ-তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক করাকেও অতিমূল্যায়ন বলছেন তারা।

বিভিন্ন স্তরের নেতাদের মতে, একজন আনকোরা ব্যক্তিকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হয়েছে।

রদবদলে রুহুল কুদ্দুস দুলুকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে পাঠিয়ে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকতকে রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকেও অতিমূল্যায়ন মনে করছেন অনেকে।

তাদের মতে, বিগত আন্দোলনে কার্যকর ভূমিকা না থাকলেও দলের একজন প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক কমিটিতে চমক  

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে রদবদলের পাশাপাশি দলের বর্তমান বিদেশ বিষয়ক কমিটি ভেঙে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি এবং স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি। চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই আছেন।

সরকারবিরোধী বিগত আন্দোলন মূল্যায়নে কূটনৈতিক ব্যর্থতা কাটাতে দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির বদলে ২৯ সদস্যের নতুন এই দুটি কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। জ্যেষ্ঠ নেতাদের সমন্বয়ে একটি এবং তাদের সহায়তা করার জন্য আরেকটি কমিটি করা হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদে বিএনপির নারী এমপি ছিলেন রুমিন ফারহানা।

চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন- আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, ইসমাইল জবিউল্লাহ, হুমায়ুন কবির, সিরাজুল ইসলাম, তাজভিরুল ইসলাম।

‘স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি’র সদস্যরা হলেন- শামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, নাসির উদ্দিন অসীম, নওশাদ জমির, কায়সার কামাল, আসাদুজ্জামান, আফরোজা খান রিতা, ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জেবা খান, নিপুণ রায় চৌধুরী, খান রবিউল ইসলাম রবি, মীর হেলাল উদ্দিন, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, ফারজানা শারমীন পুতুল, ইসরাফিল খসরু, আবু সালেহ মো. সায়েম (যুক্তরাজ্য) ও ইকবাল হোসেন বাবু (বেলজিয়াম)।

দুটি কমিটির কোনোটিতেই রাখা হয়নি আগের কমিটির সদস্য রুমিন ফারহানাকে। এর কারণ সম্পর্কে বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেন, একাদশ সংসদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধিতা ছিল রুমিনের। তা নিয়ে দেন-দরবারও চালিয়েছিলেন তিনি।  

এ বিষয়ে কথা বলতে রুমিন ফারহানাকে সকাল সন্ধ্যার পক্ষ েথকে ফোন করা হলে তিনি ‘ব্যস্ত আছেন’ বলে কলটি কেটে দেন।

একই কারণে সাবেক সংসদ সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থা হারিয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা জানান।

আসছে আরও নতুন মুখ

কেন্দ্রীয় কমিটিতে পরিবর্তনের পাশাপাশি গত ১৪ মে ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তর-দক্ষিণ উভয় কমিটি এবং বরিশাল মহানগর ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়। একই কারণে কেন্দ্রীয় যুবদলের কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

বিএনপি নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই নির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ আরও পদে পরিবর্তন আসতে পারে। দ্বিতীয় ধাপে ৩০ থেকে ৩৫ নেতাকে বিভিন্ন পদে পদায়ন করা হতে পারে। এক্ষেত্রে ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়াও স্থায়ী কমিটির শূন্য পদে নতুন মুখ আসতে পারে। তৃতীয় এবং চতুর্থ ধাপ মিলিয়ে দুই থেকে আড়াইশ পদে আসতে পারে রদবদল।

জানা গেছে, বয়স ও অসুস্থতাজনিত কারণে দু-একজন নিষ্ক্রিয় হলেও স্থায়ী কমিটি থেকে আপাতত কাউকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকা পদগুলো পূরণ করাই মূল লক্ষ্য।

১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে বর্তমানে পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে।

প্রক্রিয়া চলমান থাকবে এমন মন্তব্য করলেও তা কোন কোন পর্যায়ে হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কিছু বলতে রাজি হোননি।

রিজভী
এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন রুহুল কবির রিজভী। তার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় রদবদলের খবর। ফাইল ছবি

রদবদলের যে কারণ দেখানো হচ্ছে

এই রদবদল নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

এক পক্ষ বলছে,সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন সামনে রেখে জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও সহযোগী সংগঠন পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে দলকে চাঙা করার চেষ্টা হচ্ছে।

অন্য পক্ষ একে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতা এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত হিসাবে দেখছেন। তবে তারা কেউই স্বনামে মন্তব্য করতে রাজি নন পদ হারানোর ভয়ে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার প্রায় আট মাস অতিক্রম হলেও মাঠের আন্দোলনে ফিরতে পারেনি বিএনপি।

তবে পরিবর্তনের পক্ষে যারা তারা বলছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও নানা কারণে আপাতত কাউন্সিল করা সম্ভবপর হচ্ছে না। তাই গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিভিন্ন পদ পুনর্বিন্যাস করছেন

এখন পরিবর্তনের কারণ জানতে চাইলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “রাজনীতিতে সময়ের এক বিরাট ভূমিকা আছে। যারা সময়ের সাথে প্রয়োজনীয়তার অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে পারে, তারা এগিয়ে যায়। আমাদের এখন সময়ের সাথে প্রয়োজনীয়তার সাথে অ্যাডজাস্টমেন্ট করে এগিয়ে যাওয়ার সময়।

“সবাই আজীবন থাকবে না। একই পদেও কারও বেশিদিন থাকার সুযোগ নেই। আবার শূন্য পদে নতুন নেতৃত্ব আসবে। যেখানে যার দরকার তাকে সেখানে দেওয়া হবে। এটি একটি স্বাভাবিক সাংগঠনিক প্রক্রিয়া, এটি চলমান থাকবে।”

এবিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোনও কথা বলতে চাননি। তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আপনারা তো চিঠি পেয়েছেন। হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তই দলীয় সিদ্ধান্ত। এখানে ব্যক্তিমতের সুযোগ নেই। দল যা সঠিক মনে করবে, তাই করবে।”

দীর্ঘদিন পর গত ১১ মে ঢাকার নয়া পল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি। ছবি : হারুন-অর-রশীদ।

নেতারা তা কীভাবে দেখছেন

বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, বিগত আন্দোলনে যারা মাঠে ছিলেন না কিংবা যাদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ছিল, এমনকি দলের প্রতি যাদের কমিটমেন্টের অভাব রয়েছে বলে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, তাদেরঅপেক্ষাকৃত গুরুত্বহীন পদ কিংবা পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় অপেক্ষাকৃত তরুণ ও দলের হাইকমান্ডের আস্থাভাজন নেতাদেরই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে আনা হবে।

তাদের মতে, ‘আস্থাভাজন’ নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে নির্বাহী কমিটির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চান তারেক রহমান। সে বিবেচনায় রদবদলে কারও পদোন্নতি হয়েছে, কারও পদাবনতি ঘটেছে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে আপাতদৃষ্টিতে ‘পদোন্নতি’ দেওয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে অবনমন হয়েছে।

সামনে বিএনপি জোরালো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ফিরছে- এমন ইঙ্গিত দিয়ে স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “রাজনীতিতে আমার যুগ পার হয়ে গেছে। হাসি দেখে বলে দিতে পারি কে কী বলতে চাচ্ছে। এই রদবদলের সিদ্ধান্ত আন্দোলন জোরালো করার প্রাথমিক প্রস্তুতি।

“আস্থাভাজন লোকদের নেতৃত্বে আনতে পারলে তাদের কন্ট্রোল করা সহজ। দলের প্রতি ডেডিকেটেড লোক নির্বাচন করতে পারলেই আন্দোলন জোরালো করে মাঠ গরম করা যায়। সেজন্যই হাইকমান্ড তার নিজস্ব আস্থাভাজন লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাচ্ছেন।”

আবার আরেক নেতা বলেন, এটি একটি ‘হঠকারী সিদ্ধান্ত এবং চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘স্বেচ্ছাচারিতা’।

এই পরিবর্তনে পদবি বদলে যাওয়া এক নেতা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এখন তো সরকারি চাকরীজীবীদের মতো পদ হারানোর ভয়ে আছি। কথা বললেই বান্দরবান পাঠিয়ে দেওয়ার মতো অবস্থা।”

“দলকে পুনর্বিন্যাস করতে অবশ্যই রদবদলের গুরুত্ব রয়েছে। তবে সেখানে এটাও খেয়াল করতে হবে যে যারা দলের প্রতি নিষ্ঠাবান তারা যেন অবমূল্যায়িত না হয়।  এখানে পার্সোনাল রাগ-ক্ষোভের কোনও স্পেস নেই,” বলেন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত