Beta
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

৯ হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের দাবি বিএনপির

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি।
[publishpress_authors_box]

বিএনপির নেতাকর্মীসহ কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সারাদেশে বিএনপির নয় হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, “সারাদেশে নয় হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে সাবেক এমপিসহ সিনিয়র নেতারা অসুস্থ হওয়ার পরেও তাদের সন্ত্রাসীদের মতো ৫-৭ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে।

“কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নিরব, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হকসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা চলছে।”

নির্যাতনের বিষয়টি আদালতকে জানানোর পরও রিমান্ড অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “জেলখানার ভেতরেও তাদেরকে নির্মম নির্যাতনের মধ্যে রাখা হয়েছে যা অমানবিক ও আইনের পরিপন্থী। পুলিশ হেফাজতে এরকম নির্যাতন মানবতাবিরোধী। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, নেতাকর্মীদের ওপরে চলমান নির্যাতনে অনাকাঙ্খিত কিছু হয়ে গেলে এর দায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই নিতে হবে।”

এসময় বিএনপির গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান তিনি।

‘কোটা আন্দোলন নিয়ে সরকারের দ্বৈতনীতি’

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নিয়ে সরকার দ্বৈতনীতি অবলম্বন করেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নিরীহ ছাত্র-ছাত্রী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদেরকে নির্যাতন করা হবে না। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ, প্রতিবন্ধী শিশু এবং বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষও রেহাই পাচ্ছে না।

“অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যারা প্রকাশ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করল, তাদের একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং তাদের নিয়ে সরকারপ্রধান মায়া কান্না করছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত