Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সাহায্য করবে সুইজারল্যান্ড : খসরু

বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলির বৈঠক। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলির বৈঠক। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সুইজারল্যান্ড সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি। এর আগে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু জানান, বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থা, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সুইস ব্যাংকে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনাসহ সাংবিধানিক ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে আমরা বার বার বলেছি যে, ১০০ বিলিয়ন ডলারের উপরে পাচার হয়েছে। বাংলাদেশে আজকে অর্থনৈতিক অবস্থা, রিজার্ভের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে- সেটা আমরা জানি। একটা কঠিন অবস্থা। তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) এতো টাকা পাচার করেছে যে, দেশের রিজার্ভ একেবারে তলানিতে।

“দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যেক নাগরিক এটার অ্যাফেক্ট ফিল করছে। তারা (সুইজারল্যান্ড) বলেছে, এই টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের যেকোনও উদ্যোগকে তারা স্বাগত জানাবে এবং সহযোগিতা করবে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “এই টাকাগুলো ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশের এতো সম্পদ লুণ্ঠন হয়েছে, এতো টাকা দেশের বাইরে গেছে যে, এগুলো যদি আমরা ফিরিয়ে আনতে না পারি- এই অর্থনীতিকে রিকভার করা খুবই কঠিন হবে।”

তিনি বলেন, “মূলত বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতিসহ যেসব রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে গেছে, যে জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, এখান থেকে মুক্তির পথ কী? আমরা কী চিন্তা করছি? আর ওরা (সুইজারল্যান্ড) কী করতে পারে- এই ব্যাপারে কথা হয়েছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে, একথা আমরা ১৬/১৭ বছর ধরে বলে আসছি। দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিরা জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে, এটা হচ্ছে গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র। এই জায়গায় কোনও দ্বিমত থাকার সুযোগ নাই।

“আমরা বলতে চাই, এটা একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যারা এই কাজগুলো করবে। আমরা কোনও সময়সীমা তাদেরকে বেঁধে দেইনি। তবে একটা যৌক্তিক সময় দিয়েছি। এই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন হবে।

“এটা সকলে প্রত্যাশা করে এবং যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আছেন, তারাও কিন্তু এটা বিশ্বাস করে। এখানে আমাদের সঙ্গে তাদের কোনও দ্বিমত নেই। আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকরকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি এবং দিয়ে যাব।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত